বুধবার থেকে নতুন করে দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছিল দেশের কৃষকরা। সেইমতো এদিন সকাল থেকে উত্তাল হয়ে উঠল পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্ত। এদিন প্রায় ১৪ হাজার কৃষক শম্ভু সীমান্ত পার হতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় খণ্ডযুদ্ধ। ড্রোনের মাধ্যমে কৃষকদের লক্ষ্য করে লাগাতার ছোড়া হচ্ছে টিয়ার গ্যাসের শেল। নামানো হয়েছে আধা সামরিক বাহিনী। তবে এত কিছু করেও কোনওভাবে রোখা যাচ্ছে না অন্নদাতাদের। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চম দফায় কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের ডাক দিয়েছে মোদি সরকার।

সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এই বিক্ষোভ আটকাতে মরিয়া সরকার। ২০২০-২১ সালের সহিংস কৃষক বিক্ষোভ ঘুম ছুটিয়েছিল মোদি সরকারের প্রবল চাপের মুখে বাধ্য হয়ে আইন পরিবর্তন করতে বাধ্য হয় সরকার। এই অবস্থায় নতুন করে যে ক্ষোভের আগুন কৃষকবিরোধী মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে তা থামাতে দাঁত-নখ বের করেছে সরকার। সর্বশক্তি দিয়ে অন্নদাতাদের দিল্লি প্রবেশ আটকাতে কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। পাশাপাশি কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার ডাক দিয়ে এদিন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা বলেন, “চতুর্থ রাউন্ডের পরে সরকার MSP (ন্যূনতম সমর্থন মূল্য)-সহ সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। আমি সব কৃষক নেতাদের আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।” ওদিকে কৃষকদের তরফে গতকালই জানানো হয়েছে, কোনও মতেই সরকার আমাদের দিল্লিতে পৌঁছতে দিতে চায় না। কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে যদি সমাধান না হয় তাহলে আমরা দিল্লি যাবই। এখন আমাদের উপরে শেল-কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়েছে। কাশ্মীরের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হরিয়ানায়।

VIDEO | Farmers’ ‘Delhi Chalo’ march: Tear gas shells fired at Shambhu border. More details are awaited. pic.twitter.com/4TSRuqmZvT
— Press Trust of India (@PTI_News) February 21, 2024
উল্লেখ্য, নুন্যতম সহায়কমূল্য সহ একাধিক দাবিতে এর আগে চারবার সরকার-কষক বৈঠকে হলেও কোনও রফাসূত্র মেলেনি। কেন্দ্রের প্রস্তাব মানতে নারাজ বলে জানিয়ে দিয়েছে আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলি। তারা ট্র্যাক্টরগুলিকেই ‘অস্থায়ী ট্যাঙ্ক’ হিসাবে ব্যবহার করছেন। যাবতীয় বিরোধ এড়িয়ে এগিয়ে চলেছেন রাজধানীর দিকে।
