‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এ হাজির মমতা, রচনাকে দিয়ে রুটি বেলালেন ‘বাংলার দিদি’

গল্প, রসিকতা এবং আড্ডার মেজাজে শুট করেছেন মমতা। রচনা ভেবেছিলেন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবেন মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু উল্টে বাংলার দিদির দেওয়া চালে তিনি কুপোকাত।

দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যা বলেন তা কাজে করেও দেখান। দক্ষ হাতে রাজ্য সামলান আবার হাসিমুখে ছোট্ট শিশুদের কোলে তুলে নেন। মমতাই বাংলার এক নম্বর দিদি, তাই মুখ্যমন্ত্রী যখন দিদি নাম্বার ওয়ানে (Didi No 1) হাজির তখন চমক তোঁ থাকবেই। আর বাস্তবেও ঠিক হলও তাই। প্রায় ১৫ বছর ধরে এই রিয়্যালিটি শো সঞ্চালনা করছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee), এবার তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। প্রতিযোগিতায় হাজির ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় (Dona Ganguly),শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sriradha Banerjee),অরুন্ধতী হোমচৌধুরী। কিন্তু খেলা দেখালেন মমতা একাই। গল্প থেকে গান , কবিতা থেকে মজার খেলা সবেতেই নজর কাড়লেন ‘বাংলার দিদি’।

বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এর জনপ্রিয়তাকে আরও বাড়াতে সঞ্চালিকা আর চ্যানেল কর্তৃপক্ষ মুখ্যমন্ত্রীকে অংশগ্রহণে অনুরোধ করেন। ভালবাসার আবদার ফেলেননি মমতা। কথা দিয়েছিলেন আসবেন আর সেইমতো কথা রাখলেন। বুধবার সকালে এই অনুষ্ঠানের শুটিং করতে ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পৌঁছন মমতা। বেলা ১২টা নাগাদ ফ্লোরে ঢোকেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মাত্র আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই শুটিং শেষ করেছেন বলে খবর। উচ্ছ্বসিত কলাকুশলী থেকে টেকনিশিয়ান প্রত্যেকেই। এত কাছ থেকে মমতাকে পেয়ে আপ্লুত টিম ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’। গল্প, রসিকতা এবং আড্ডার মেজাজে শুট করেছেন মমতা। রচনা ভেবেছিলেন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবেন মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু উল্টে বাংলার দিদির দেওয়া চালে তিনি কুপোকাত। জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শোয়ে ‘প্রতিযোগী’ নয়, বরং ‘বিশেষ অতিথি’ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিযোগিতা হয় ডোনা-অরুন্ধতী-শ্রীরাধার মধ্যেই। মমতা প্রতিযোগিতায় অংশ না-নিলেও রচনা তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন রুটি বেলতে। মমতা উল্টে রচনাকেই বলেন রুটি বেলে দেখাতে। সটান বলেন, “আগে তুমি রুটি বেলে দেখাও!” মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ ফেলেননি রচনা। তারপরে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীও রুটি বেলে দেখিয়ে দিয়েছেন। রুটি বেলার এই প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছেন ডোনা।

বাংলার মহিলাদের উজ্জীবিত করাই ছিল শোয়ের এই পর্বের উদ্দেশ্য। সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অংশগ্রহণ। উদ্যোক্তা সূত্রের খবর, শৈশব থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যাত্রাপথের অভিজ্ঞতা শুনিয়েছেন মমতা। পাশাপাশি, তাঁর জীবনসংগ্রামের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। মহিলাদের উন্নয়নে আরও কী কী ভাবনা আছে রাজ্য সরকারের সেই কথাও নাকি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সকলের অনুরোধে ছবিও আঁকেন মমতা। গান করেন। তাঁর লেখা এবং সুর-দেওয়া গান গেয়ে শোনান শ্রীরাধা। শুটিং শেষ করেও যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না রচনা। অভিনেত্রীর কথায়, “এখনও পর্যন্ত যেটা কখনও হয়নি, এ বার সেটাই হতে চলেছে। আমি দিদির কাছে চিরকৃতজ্ঞ। এত বছর ধরে আমার শোয়ের যে সুনাম, সেটা দিদির উপস্থিতিতে পূর্ণতা পেল।” শুটিং শেষের পর মমতা জানান, অনুষ্ঠান খুব ভাল হয়েছে। এরপরই ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সোজা দেশপ্রিয় পার্কে চলে যান তিনি।


Previous articleসম্প্রীতি রক্ষায় পথ দেখাবে বাংলা, বিভেদকারীদের একদিনও সহ্য নয়: একুশের মঞ্চে গর্জে উঠলেন মমতা
Next articleদুরন্ত পারফরমেন্সে আইসিসি টেস্ট ব্যাটারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৪ ধাপ উন্নতি যশস্বীর