প্রদীপের পর রমেশ! বিলকিস মামলার অপরাধীকে ১০ দিনের প্যারোলে মুক্তি গুজরাট হাই কোর্টের

ভাগ্নের বিয়ে! আর সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই এবার প্যারোলে (Parole) মুক্তি পেলেন বিলকিস বানো (Bilkis Bano) মামলার অপরাধী রমেশ চন্দনা (Ramesh Chandana)। আগামী ৫ মার্চ থেকে ১০ দিনের তাঁর প্যারোল মঞ্জুর করেছে গুজরাট হাইকোর্ট (Gujrat High Court)। গত সপ্তাহেই প্যারোলের জন্য হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন রমেশ। এরপর শুক্রবার তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) নির্দেশের পর গত ২১ জানুয়ারি পঞ্চমহল জেলায় গোধরা সাব-জেলে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন গুজরাট হিংসায় খুন এবং গণধর্ষণকাণ্ডের অপরাধীরা। আর গুজরাট সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পরই শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

তবে রমেশই প্রথম নয়, এর আগে বিলকিস মামলার অন্য এক অপরাধী প্রদীপ মোধিয়ার প্যারোলের আবেদন মঞ্জুর করেছিল গুজরাট হাই কোর্ট। ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন প্রদীপ। এদিকে দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে গুজরাট সরকারের তরফে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে জানা যাচ্ছে ২০০৮ সালে কারাবাস শুরুর পর থেকে ১,১৯৮ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্ত ছিলেন রমেশ। এ ছাড়াও ২০২২ সালের ১৫ অগাস্ট ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে খুন এবং গণধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে জেলে ‘ভালো আচরণ’ করার যুক্তি দিয়ে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট সরকার। তার আগে, মুক্তির জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ওই অপরাধীরা। এরপরই ডবল ইঞ্জিন গুজরাট সরকার ১১ অপরাধীর মুক্তির পক্ষে সওয়াল করে। এরপরই ১১ জনকে ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় আদালত।

তবে গত জানুয়ারি মাসেই সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানায়, গুজরাট সরকারের ওই সিদ্ধান্ত এক্তিয়ার-বহির্ভূত। কারণ ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ারই ছিল না গুজরাট সরকারের। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, খুন এবং ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জনকেই দু’সপ্তাহের মধ্যে জেলে ফিরে যেতে হবে এবং আত্মসমর্পণ করতে হবে। এরপর ২১ জানুয়ারি রাতে তাঁরা ফের আত্মসমর্পণ করেন।

 

 

 

 

Previous articleGold Silver Rate: আজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে
Next articleBreakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস