যোগীরাজ্যে স্কুলের গা ঘেঁষে মদের দোকান! মদ্যপদের তাণ্ডব থেকে বাঁচতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ ৫ বছরের খুদে

উত্তর প্রদেশের কানপুরের আজাদ নগর শেঠ জয়পুরিয়া স্কুলে লেখাপড়া করত অর্থব। আর সেই স্কুলের একেবারে গা ঘেঁষে রয়েছে একটি মদের দোকান।

বয়স মাত্র পাঁচ বছর। কিন্তু একরত্তি হলে কী হবে তাঁর প্রতিবাদী ভাবমূর্তির জন্য সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। ছোট্ট বয়স হলেও অন্যায় দেখলেই প্রতিবাদ করতে এতটুকু পিছপা হয়নি। আর যোগীরাজ্যের (Yogi State) এই খুদে পড়ুয়ার (Student) জ্ঞানবোধ দেখে রীতিমতো তাজ্জব দেশবাসী। সূত্রের খবর, নিজের স্কুলের সামনেই দেদারে চলছে মদ বিক্রি। আর মদ্যপ অবস্থায় স্কুলের সামনে হইচই থেকে শুরু করে গণ্ডগোল সবকিছুই চলছিল। তাতে লেখাপড়া তো দূর দিনে দিনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল স্কুলের পরিবেশও। আর লাগাতার সেই ছবি দেখে একবারেই মেনে নিতে পারেনি পড়ুয়া। আর সেকারণেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে একেবারে এলাহবাদ হাই কোর্টে (Allahabad High Court) মামলা দায়ের করল কানপুরের (Kanpur) বাসিন্দা নাবালক অর্থব (Arthav)। বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। একটা স্কুলের পাশে কীভাবে রমরমিয়ে একটা মদের দোকান চলতে পারে তা নিয়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে (Yogi Adityanath) প্রশ্ন ছুঁড়েছেন অনেকেই।

বিষয়টা ঠিক কী? জেনে নেওয়া যাক!

উত্তর প্রদেশের কানপুরের আজাদ নগর শেঠ জয়পুরিয়া স্কুলে লেখাপড়া করত অর্থব। আর সেই স্কুলের একেবারে গা ঘেঁষে রয়েছে একটি মদের দোকান। সকালে দোকান খোলার পর থেকেই মদ্যপরা ভিড় জমাতে শুরু করে। পাশাপাশি স্কুল চলাকালীন মদ্যপদের মধ্যে চলে বিস্তর ঝামেলা। আর বিষয়টি মাত্রাতিরিক্ত হতেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ওই পড়ুয়া। স্কুলের পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে এলাহবাদ হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে অর্থব।

আবেদনে বলা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে কম বয়সি পড়ুয়াদের সামনেই মদ্যপরা অশান্তি শুরু করেন। চলে মারপিট, গালিগালাজও। পাশাপাশি আবেদনপত্রে দোকানটিকে ‘সমাজবিরোধীদের আখড়া’ বলেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। তবে যত দ্রুত সম্ভব ওই মদের দোকানটি তুলে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। যদিও দোকান কর্তৃপক্ষের তরফে সাফ জানানো হয়, দোকানটি পুরোনো। পরে ওই বেসরকারি স্কুল সেখানে করা হয়েছে। তবে একটা স্কুলের গা ঘেঁষে কীভাবে একটি মদের দোকান থাকতে পারে তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছে আদালত।

এলাহবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি মনোজ কুমার গুপ্ত এবং বিচারপতি ক্ষিতিজ শৈলেন্দ্রের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে। আগামী ১৩ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন যোগী সরকারকে বিস্তারিত জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যোগী সরকারকে।