সময় গড়ালেও বিরোধীদের লাগাতার গাজোয়ারিতে অশান্ত হয়ে উঠছে সন্দেশখালি (Sandeskhali)। ইতিমধ্যে রাজ্য প্রশাসন সবরকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলেও বিরোধীদের ইন্ধনে দফায় দফায় অশান্ত হয়ে উঠছে উত্তর চব্বিশ পরগণার সন্দেশখালি। সামনে লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election)। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে পায়ের তলার মাটি হারিয়ে বাংলা দখলের দিবাস্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে বিজেপি (BJP)। তাই যেভাবেই হোক অশান্তি করে, ধর্মের রাজনীতি করে মানুষকে বিপথে চালিত করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির নেশায় বুঁদ গেরুয়া শিবির। আর সেকারণেই সন্দেশখালির নামে এবার কলকাতায় অশান্তি টেনে আনতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। সেই লক্ষ্যেই এবার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্না (Dharna) কর্মসূচিতে বসতে চেয়ে একেবারে আদালতের দ্বারস্থ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। যদিও পুলিশ তাঁদের অনুমতি দেয়নি। কিন্তু ওই যে লোকসভার আগে নিজেকে প্রমাণ করার মরিয়া তাগিদ সুকান্তর।
যদিও এদিন সুকান্তকে মামলা দায়েরর অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি কৌশিক চন্দ। আদালত সূত্রে খবর, মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হতে পারে। গত শুক্রবারই দলীয় বৈঠকে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব স্থির করে সন্দেশখালির ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে কলকাতাকে স্তব্ধ করতে টানা তিন দিন ধর্না কর্মসূচি পালন করবে দল। ধর্না কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত টানা তিন দিন কলকাতার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে সেই ধর্না চলবে। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে সেই অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এরপরই পুলিশের বিরুদ্ধে চরম ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতের দ্বারস্থ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি। হাই কোর্টের রায়ের দিকে নজর থাকবে সকলের।