লোকসভা নির্বাচনের নজরদারিতে থাকবে ইডি (ED), বড় সিদ্ধান্ত নিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন(National Election Commission)। নির্বাচনের আয় ব্যয় সংক্রান্ত হিসেবে রাখবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি বলেই খবর। পাশাপাশি জেলায় জেলায় নির্বাচন সংক্রান্ত অশান্তি এড়াতে রাজ্যকে বিশেষ নজর রাখার পরামর্শ কমিশনের কর্তাদের। তিন দিনের রাজ্য সফরে আজ রাজ্যের মুখ্য সচিবের (CS) সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় কী কী পদক্ষেপ করা হবে সেই নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিনই ডিজির (DG) সঙ্গেও কমিশনের বৈঠক হবে বলে সূত্রের খবর। জেলাভিত্তিক ইন্টেলিজেন্স কমিটিও গড়ে তোলা হবে বলে জানা যাচ্ছে।

নির্বাচনে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত হিসাব রাখতে এবার লোকসভা নির্বাচনে ইডিকে সংযুক্ত করল নির্বাচন কমিশন। এর আগে বারবার বিরোধীদের আটকাতে এজেন্সিকে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে লোকসভা নির্বাচনেও ব্যবহার করা হবে। এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসতেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইডির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে কমিশন, ছটি নতুন এজেন্সিকেও যুক্ত করার কথা চলছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রবিবার বিকেলে রাজ্যে আসে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। ইতিমধ্যেই জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। কমিশন সূত্রে খবর, আইনশৃঙ্খলার যাতে অবনতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার পাশাপাশি পাশাপাশি একই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে আমলাদের বদলি করতে পারবে না বলে রাজ্যগুলিকে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার বৈঠকে রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরও বলেন, জামিন অযোগ্য যে ওয়ারেন্টগুলি আছে, সেগুলি কার্যকরী করতে হবে। নাকা চেকিংয়ের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। স্পর্শকাতর অঞ্চলগুলির ম্যাপিং আরও নিখুঁতভাবে করুন। এদিন দীর্ঘক্ষণ বৈঠক চলে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের। আজ DG ও মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকার সঙ্গে বৈঠকে কী কী উঠে আসে সেটাই দেখার।