আগামী ১০ মার্চ তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেডে ‘জনগর্জন’ সমাবেশ। এই উপলক্ষ্যে পৈলান- সাতগাছিয়া এবং মহেশতলায় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হল। হাজার হাজার কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতিতে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ধুয়ে দিলেন বিজেপিকে। বুধবার এই সভায় তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপনারা দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলা তৃণমূলের দুর্গ,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্গ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্গ, ঘাসফুলের দুর্গ।আগের ভোটের মতো আবার ওরা যাতায়াত শুরু করেছে । এর আগে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছে তারপর মুখ পুড়েছে। বিজেপি মুখে বড় বড় কথা বলছে। আসলে পায়ের তলায় জমি সরে গিয়েছে, সব নাটক করছে। আমরা উন্নয়নের রাজনীতি করছি আর বিজেপি ধর্মের রাজনীতি করছে।
কুাণাল এদিন সাফ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় রাজ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, রূপশ্রীর মতো ষাট-সত্তরটা প্রকল্প মানুষের জীবন জুড়ে আছে। রাজ্যবাসীর জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানান প্রকল্প জড়িয়ে আছে। আর বিজেপি পেট্রল থেকে ডিজেল, রান্নার গ্যাস, জীবনদায়ী ওষুধ,সারের দাম আকাশছোঁয়া করেছে। ঘরের ভগবানকে বিজেপি রাজনীতির মিছিলে আনছে কেন, প্রশ্ন কুণালের। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম না করে এদিন কুণালের কটাক্ষ, হাইকোর্টে একজন ভগবান সেজেছিলেন। আর আজ সিবিআইয়ের এফআইআর নেমড গদ্দারের হাত থেকে পতাকা নিচ্ছেন। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চান কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী। আসলে বিজেপি তো কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।
তার স্পষ্ট কথা, ক্ষমতার জন্য ভগবানকে নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। তার অভিযোগ, বিজেপি-আইএসএফ- সিপিএম এক জোট হয়ে ঝামেলা পাকাচ্ছে। কুণাল বলেন, তৃণমূল এত বড় পরিবার। কেউ কোনও ভুল করতে পারে। সেই ভুল শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা। দোষ করলে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের টাকা, আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছে।বিজেপির টার্গেট বাংলা, কিন্তু ফের বাংলায় ফিরে আসবে শাসক দল।