বিচারপতির চেয়ারে বিজেপিবাবু! জনগণ রায় দেবে: নাম না করে অভিজিৎকে তোপ মমতার

বিচারপতির আসনে বসেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ। আগে কেউকেটা সাজতেন। এবার মুখোশটা খুলে পড়েছে। বৃহস্পতিবার, ডোরিনা ক্রসিং-এর সভা থেকে নাম না করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়, আপনার রায় এবার জনগণ দেবে। তীব্র কটাক্ষ করে মমতা বলেন, “বিচারপতির চেয়ারে বসে বিজেপি বাবু, বিজেপি পার্টিতে যোগদান করার কথা ঘোষণা করছেন?

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আগের দিন কলকাতার রাজপথে ‘মহিলাদের অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার’- এই স্লোগানকে সামনে পদযাত্রা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো ও তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিন এই মিছিলের কিছুক্ষণ আগেই বিজেপিতে যোগ দেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবারই তিনি স্বীকার করেন বিচারপতির আসনে থাকা অবস্থাতেই তিনি বিজেপি-র সঙ্গে যোগাযোগে ছিলেন। এই নিয়ে সেই দিনই তাঁকে তুমুল কটাক্ষ করেন অভিষেক। এদিন নাম না করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, এরা কেউকেটা হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এদের মুখোশটা খুলে পড়েছে। টিভিতে ইন্টাভিউ দিচ্ছে। অভিষেককে নাম করে বাজে কথা বলছে। এবার থেকে আপনার রায় জনগণ দেবে। তাঁর কথায়, “এদের কাছে বিচার পাবেন? বিজেপি যা বলেছে, উনি তাই করেছেন। কী সব রায় দিয়েছে! আমরা বুঝতে পারতাম, রোজ অভিষেকের নাম করে করে গালি দিত। তবে আমি খুশি যে মুখোশটা খুলে গিয়েছে।” মমতা বলেন, “বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে, এদের থেকে বিচার পাবেন না।” মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “হাজার হাজার ছেলেমেয়েদের চাকরি খেয়েছেন। চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা নেই। চাকরি আটকে দিচ্ছেন। যদি কোথাও ভুল হয়, বদল করতে বলুন। তা না করে চাকরি আটকে দিচ্ছেন।“

অভিজিৎকে নিশানা করে মমতা বলেন, “বিচারপতির চেয়ারে বসে বিজেপিবাবু বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। আমি জানি কোনটা সঠিক কোনটা বেঠিক। আমি নিজে আইনজীবী ছিলাম। কিন্তু উনি হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর চাকরি কেড়ে নিয়েছেন। আবার টিভিতে ইন্টারভিউও দিয়েছেন। কাল থেকে আপনার রায় জনগণ দেবে। তৈরি থাকুন। আপনি যেখানে দাঁড়াবেন। ছাত্রদের নিয়ে যাব। হাজার হাজার ছাত্রের চাকরি খেয়েছেন।“

একই সঙ্গে নাম না করে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়কেও কটাক্ষ করেন তৃণমূল সভানেত্রী। বলেন, “একদিন কারও বাড়িতে ইডি গেলে ভয় পাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার ভয় পেয়ে বিজেপিতে যাচ্ছেন। বিজেপি নেতারা ফোন করে বলছে, বিজেপিতে চলে এসো সব ঠিক হয়ে যাবে।“




Previous articleলোকসভার আগে বিরাট চমক, মতুয়া গড়ের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণির তৃণমূলে যোগদান
Next articleসাংবাদিক, ড্রাইভারদের প্রবেশ নিষেধ: কাঞ্চন-শ্রীময়ীর রিসেপশন কার্ড ঘিরে তুমুল বিতর্ক