আজ কী হয়েছিল?

২০১৭ কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য (১৯৭০-২০১৭) এদিন সকালে কলকাতা থেকে বর্ধমানে যাওয়ার পথে হুগলি জেলার গুড়াপে একটি গাড়িদুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। বরাকের লোকসংগীত সংগ্রাহক, গবেষক তথা গানের দল ‘দোহার’-এর মূল গায়েন কালিকাপ্রসাদ। শুধু লোকগানই নয়, ক্ল্যাসিক্যাল সংগীতেও ছিল তাঁর অবাধ যাতায়াত। লোকগানকে বাণিজ্যের মোড়কে বাঁধেননি কখনও। তাঁর গানে বরাবরই প্রাধান্য পেয়েছে লোকায়ত বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার। হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গান শুনে বড় হওয়া। ছোটবেলা থেকেই মন ছুটত টুসু, ভাদু, ভাওয়াইয়ায়। ভাটিয়ালি সুরের উজান বাওয়া গান শুনতে শুনতে একসময় মনে হয়েছিল জোট বাঁধা দরকার। তাই তৈরি হয়েছিল ‘দোহার’। সেটা ১৯৯৯-র ঘটনা। লোকসংগীতকে নতুন আঙ্গিকে মানুষের সামনে তুলে ধরার পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ব্যস্ত থেকেছেন অধিকাংশ সময়। বাংলা বিনোদন চ্যানেলের অসম্ভব জনপ্রিয় রিয়ালিটি শোতে প্রতিযোগীদের প্রশিক্ষকের দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁর হাত ধরে সংগীতের আঙিনায় পা রেখেছেন অনেকে। পরম যত্নে তাঁদের মূল স্রোতে আনার কাজ করছিলেন কালিকাপ্রসাদ। ‘মনের মানুষ’, ‘জাতিস্মর’–সহ বেশ কয়েকটি বাংলা ও হিন্দি ছবি ‘গুমশূদা’তে বেশ কিছু গান গেয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রদত্ত সংগীত সম্মান পুরস্কার পান।

১৯৮২ বিমল ঘোষ (১৯১০-১৯৮২) এদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৌমাছি ছদ্মনামে ছোটদের জন্য বিমল ঘোষ অজস্র ছড়া, কবিতা, নাটক, গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন। ‘চেঙাবেঙা’ বইটির জন্য তিনি পুরস্কারও লাভ করেন। শুধুমাত্র তা-ই নয়, ১৯৫৩ সালে ইউরোপের রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে অনুষ্ঠিত বিশ্ব যুব উৎসবে তিনি ভারত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেছিলেন। বিমল ঘোষ আকাশবাণীর সঙ্গেও দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল— ‘ইউরোপের অগ্নিকোণে’, ‘কামাল পরদেশী’ ইত্যাদি। তাঁরই উদ্যোগে ১৯৪০ সালে আনন্দবাজার পত্রিকা-র ছোটদের বিভাগ আনন্দমেলা-র প্রতিষ্ঠা হয় ও তার প্রসার ঘটে। আনন্দমেলা-র মাধ্যমে শিশু ও কিশোরদের জন্য তিনি ‘মণিমেলা’ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই সময় বাংলা ও বাংলার বাইরে এই সংগঠনটি যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছিল।

১৯৮৭ আমেরিকান বক্সার মাইক এদিন বিশ্ব বক্সিং অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় ১২ রাউন্ডে জেমস স্মিথকে হারিয়ে হেভিওয়েট বক্সিংয়ে চ্যাম্পিয়ন হন। তিনিই কনিষ্ঠতম বক্সিং চ্যাম্পিয়ন।

১৯৩১ শঙ্কু মহারাজ (১৯৩১-২০০৪) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। আসল নাম জ্যোর্তিময় ঘোষদস্তিদার। বাংলা সাহিত্যে স্বনামধন্য ভ্রমণকাহিনিকার। দীর্ঘ সাতাশ বছরের সাহিত্য জীবনে চল্লিশটিরও বেশি ভ্রমণ-সাহিত্য রচনা করেছেন। প্রথম আলোড়নসৃষ্টিকারী গ্রন্থ ‘বিগলিত করুণা জাহ্নবী যমুনা’। ভ্রমণ নিয়েই তাঁর সব লেখালিখি, যেমন- ‘হিমালয় (৫খণ্ড), ‘পঞ্চপ্রয়াগ’, ‘অমরাবতী আসাম’, ‘অমরতীর্থ অমরনাথ’, ‘তমসার তীরে তীরে’ ইত্যাদি।

১৮৭৬ অ্যালেকজান্ডার গ্রাহাম বেল এদিন টেলিফোনের পেটেন্ট নেন। কথিত আছে, ফোন আবিষ্কারের পর বেল প্রথম ফোনটি করেন তাঁর বান্ধবী মার্গারেট হ্যালোকে। সেই সূত্রে আজও ফোন কানে তুলে প্রথমেই ‘হ্যালো’ বলার প্রথা চালু আছে।

১৯৫৪ নীহারবালা (১৮৯৮ – ১৯৫৪) এদিন প্রয়াত হন। নৃত্যগীতে সুদক্ষ খ্যাতনামী অভিনেত্রী। ১৯১৮ খ্রি. রঙ্গালয়ে যোগ দেন। ১৯২১ খ্রি. থেকে দীর্ঘদিন স্টার থিয়েটারে অভিনয় করেন। স্ত্রী-চরিত্র অভিনয়ে একদিকে নাট্যসম্রাজ্ঞী তারাসুন্দরী, অন্যদিকে লাস্যময়ী নীহারবালা একসময়ে স্টারের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন। কর্ণার্জুন নাটকে ‘নিয়তি’র ভূমিকায় ও চিরকুমার সভায় ‘নীরবালা’র ভূমিকায় অভিনয় করে বিশেষ খ্যাতি লাভ করেন। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা : ‘নাহের’ (বন্দিনী), ‘সুদত্তা’ (ঋষির মেয়ে), ‘রামী’, ‘চন্দনা’ (কারাগার), ‘আলেয়া’ ইত্যাদি। মিনার্ভা থিয়েটারে তিনি কয়েকটি নাটকে সখীদের নৃত্য শেখান। ১৯৩১ খ্রি. প্রতিষ্ঠিত নাট্য নিকেতনের (পরবর্তীকালে বিশ্বরূপা) সঙ্গেও যুক্ত হয়েছিলেন। অভিনয়-জগৎ থেকে অবসর গ্রহণ করে তিনি শ্রীঅরবিন্দের পণ্ডিচেরী আশ্রমে থাকতেন। সেখানেই এদিন তাঁর মৃত্যু হয়।


Previous articleএকনজরে আজকের পেট্রোল -ডিজেলের দাম
Next articleনারী-অধিকার রক্ষায় মিছিলে মমতা-অভিষেক, পাশে বিজেপি বিধায়ক! সঙ্গে সন্দেশখালির মহিলারা