ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা, রান্নার গ্যাসের দাম কমানো নিয়ে মোদিকে কটাক্ষ তৃণমূলের

রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘গতবছরের রাখী বন্ধন উৎসবের দিন মোদি প্রথমে রান্নার গ্যাসের দাম খুবই সামান্য পরিবমাণ কমান।

লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার ঠিক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমানোর কথা ঘোষণা করলেন। এটাই নাকি নারী দিবসে তাঁর উপহার। এভাবে মহিলা ভোটারদের প্রলুব্ধ করার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি যে অশুভ ফাঁদ পাতলেন, শুক্রবার তার তীব্র সমালোচনা করেছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস।

তৃণমূল মহিলা বিরোধী মোদি সরকারের মুখোশ আগেই খুলে দিয়েছে। এটা নতুন নয়, মোদি সরকার এভাবে জ্বালানি বা গ্যাসের দাম কমায়। এটা বিজেপির জমিদারদের প্রচার কর্মসূচি ছাড়া আর কিছুই নয়।

তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা ইতিমধ্যেই তুলে ধরেছেন, কীভাবে বিজেপির ভুল নীতি নির্ধারণের জন্য গত পাঁচবছরে মুদ্রাস্ফীতি আকাশ ছুঁয়েছে। তাঁরা আরও ব্যাখ্যা করেছেন, কীভাবে বিজেপির নির্বাচনী পরিকল্পনার জন্য গত সাতমাস ধরে সাধারণ পরিবারগুলির উপর অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা চেপেছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘গতবছরের রাখী বন্ধন উৎসবের দিন মোদি প্রথমে রান্নার গ্যাসের দাম খুবই সামান্য পরিবমাণ কমান। আর আজ, আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন, পুরো সাতমাস পর, আবার তিনি সেই একই পদক্ষেপ করলেন। মোদি সরকার যদি রান্নার গ্যাসের দাম কমাতে প্রকৃত অর্থে উদ্যোগী হত, তাহলে গত সাতমাস ধরে তারা কী করছিল?’’

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার আরেক সাংসদ সাগরিকা ঘোষও মোদির এই ঘোষণার সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, “এই সময়, বিশ্বব্যাপী দাম কম থাকা সত্ত্বেও, মহিলা গ্রাহকরা এলপিজি সিলিন্ডারের চড়া দামের বোঝার নীচে হাঁসফাঁস করছিলেন এবং মোদী সরকার দাম কমানোর প্রয়োজন মনে করেনি। দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী দরকার, আমাদের যা আছে তা হল একজন নির্বাচন মন্ত্রী।”

বিষয়টি নিয়ে কুণাল ঘোষও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, ভোটের আগে গ্যাসের দাম কমানো মোদির সস্তার রাজনীতি। হাজার টাকা দাম বাড়িয়ে ভোটের ১০০টাকা কমানো কোনও কাজের কথা নয়। আর যেখানে নারী দিবসের প্রসঙ্গ, সেখানে ওনার মুখে এ সব মানায় না। উনি আগে উন্নাও, হাসরাত, মনিপুর, মধ্যপ্রদেশ নিয়ে কথা বলুন। তাই কেন্দ্রের যদি বিকল্প সরকার হয় এবং সেখানে তৃণমূল নীতি – নির্ধারক হয়, তাহলে গ্যাসের দাম ৫০০ টাকা কমানো হবে। আর বিজেপি ফিরে এলে হাজার টাকা বাড়িয়ে সব পুষিয়ে নেবে।

Previous articleশিবরাত্রির শোভাযাত্রায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা রাজস্থানে,বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ১৫ শিশু
Next articleভোটের আগেই ‘পাল্টিবাজির রাজনীতি’! দীর্ঘ ৬ বছর পর ফের NDA-তে ফেরার সম্ভাবনা চন্দ্রবাবুর দলের