Saturday, August 23, 2025

বসন্তে বই উৎসব: গড়িয়া গ্রন্থমেলা কলকাতা বইমেলার মিনি সংস্করণ, উদ্বোধনে বললেন অরূপ

Date:

মানুষের জীবনের সবথেকে কাছের বন্ধু হল বই। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে বইয়ের সঙ্গ মনে এক আলাদা আনন্দ দেয়। এবার শীত পেরিয়ে বসন্তেও বই উৎসবে মাতল কলকাতা। টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ১১১ ওয়ার্ডে গড়িয়া পূর্বপাড়া পঞ্চদূর্গা মাঠে আজ থেকে শুরু হল ‘গড়িয়া গ্রন্থমেলা ২০২৪’ (Garia Book Fair)। এদিন মেলার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)। উপস্থিত ছিলেন পাবলিশার্স এন্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় (Tridib Kumar Chatterjee),বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় (Shirshendu Mukherjee), ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। এই মঞ্চ থেকেই তিনজন কৃতি সাহিত্যিককে ‘সমরেশ মজুমদার সাহিত্য সম্মান ২০২৪’ প্রদান করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

এদিন অনুষ্ঠানে ‘অনন্য’ সম্মাননা গ্রহণ করেছেন ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। নারী দিবসে এভাবে মহিলাদের সম্মান জানানো তার পাশাপাশি গ্রন্থ মেলার আয়োজনের জন্য ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্দীপ দাসের উদ্যোগের প্রশংসা করেন তিনি। ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন মানুষের কাছে বই পৌঁছে দেওয়া গিল্ডের কর্তব্য। যেভাবে ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এলাকার মানুষের জন্য এই গ্রন্থ মেলায় আয়োজন করেছেন সেটা সত্যি অভূতপূর্ব। যতদিন কলকাতা বইমেলা থাকবে গিল্ড গড়িয়া গ্রন্থমেলার পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস নারী দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। অরূপ বলেন, সন্দীপ দাস কর্পোরেট জগত থেকে এসে আজ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এলাকার সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি সাহিত্য সংস্কৃতির প্রসারে দারুণ কাজ করছেন। মন্ত্রী বলেন, মানুষকে ভাল রাখার অব্যর্থ ওষুধ হল বই। বড় বড় রোগের সহজ সমাধান করে দিতে পারে বইপ্রেম। ই-বুক পড়ে কিছুতেই আসল বইয়ের পাতায় কাগজ গুঁজে মার্ক করে রাখার আনন্দ নেই। এর পাশাপাশি রাজ্যের সব জেলায় সারা বছর বইমেলা আয়োজন করার জন্য পাবলিশার্স এন্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেন এবং পাশে থাকার কথাও বলেন। দুয়ারে বইমেলার মতো ভাবনা বাস্তবায়িত হলে প্রকাশক এবং লেখকরা আগ্রহ পাবেন বলেও জানান তিনি। বই কিনলে মন যেমন ভাল থাকবে তেমনই অনেক মানুষের রুজি রুটিরও জোগাড় হবে। সবশেষে বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বইয়ের কথায় ফিরে যান ছেলেবেলার স্মৃতিচারণায়। নারী দিবসে মায়ের কথাও ভাগ করে নেন সকলের সঙ্গে। প্রবীণ সাহিত্যিক বলেন, এই পৃথিবীকে ভালবাসার কথা জানাতেই কলম ধরেন তিনি। ভাল থাক প্রকৃতি, সাড়া দিক বইয়ের ভাষায়- যেন এই বার্তাই আজ ধ্বনিত হল সাহিত্যিকের কণ্ঠে।


Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...
Exit mobile version