শিবরাত্রিতে জল্পেশ মন্দিরে উপচে পড়া ভিড়, একই ছবি হুগলির তারকেশ্বরে

শুক্রবার ১০টার পর নির্দিষ্ট নির্ঘণ্ট অনুযায়ী তারকেশ্বরের মহন্ত মহারাজ মন্দির বন্ধ রেখে পুজো অর্চনা করেন।

হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ভক্তরা জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri ) জল্পেশ মন্দিরে শিবরাত্রি (Maha Shivratri in Jalpesh Temple) পালন করতে পারবেন তো? এই প্রশ্ন মনে নিয়েই চতুর্দশীতে শিবের মাথায় জল ঢালতে হাজির হয়েছিলেন পুণ্যার্থীরা। উত্তরপূর্ব ভারতের এই বিশিষ্ট শিব মন্দিরে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘিরে তাই হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নিরাপত্তার জন্য ডিজিটাল সেন্সর বোর্ড, সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি মন্দিরে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক গেট যেখান দিয়ে ৫০ জন প্রবেশ করলেই অটোমেটিক গেট বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে এক সঙ্গে প্রচুর ভক্ত গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে পারবেন না। ফলে পদপিষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও কম। কিন্তু ভিড়ে এই পদ্ধতি কতটা কার্যকরী হবে তাই নিয়ে আশঙ্কা ছিল। কিন্তু সকাল পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী নির্বিঘ্নেই শিব দর্শন ও পুজো দিতে পারছেন ভক্তরা।

জল্পেশ মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে স্কন্দ পুরাণ, এমনটাই মনে করেন ভক্তরা। শ্রাবণ ও ফাল্গুন মাসে এই মন্দিরে থাকা শিবলিঙ্গে জল ঢালতে আসে কয়েক লক্ষ শিব ভক্ত।মন্দিরে রয়েছে সবজে সাদা রঙের শিব লিঙ্গ। এই শিবলিঙ্গকে অনাদি লিঙ্গ বলা হয়।কেউ বলেন কালা পাহারের আক্রমণে কেউ আবার বলেন প্রাকৃতিক কারণে এই মন্দির একবার ধ্বংস হয়। কোচবিহারের মহারাজা প্রাননারায়ণ রায় এর নির্মান কাজ শুরু করেন। শিবরাত্রি উপলক্ষে টানা ১০ দিন চলবে মেলা। একই ছবি হুগলির তারকেশ্বর মন্দিরে (Tarkeswar Temple)। শুক্রবার শিবচতুর্দশী রাত ৭:৫৮ মিনিটে পড়লেও তারকেশ্বর মন্দিরের নিয়ম অনুযায়ী রাত ৯:৫৮ মিনিট থেকে নিয়ম পালন করা হয় ৷ প্রত্যেক বারের মতো এইবারেও চার প্রহরে পুজো হয়। লক্ষ লক্ষ ভক্তরা পুজো দিতে আসেন। আজ বিকাল ৫টা পর্যন্ত থাকবে এই শিব চতুর্দশী। শিবরাত্রির জন্য ভোগ নিবেদন করা হয় না। শুক্রবার ১০টার পর নির্দিষ্ট নির্ঘণ্ট অনুযায়ী তারকেশ্বরের মহন্ত মহারাজ মন্দির বন্ধ রেখে পুজো অর্চনা করেন। গতকাল সারা রাত ভক্তরা জল-ফুল, বেলপাতা দিয়ে পুজো দেন। সন্ধ্যা থেকেই মন্দির সংলগ্ন চত্ত্বরে ভিড় বাড়তে থাকে। চতুর্দশী তিথির পুজোর নিয়ম মেনে সারা রাত শিবের মাথায় জল ঢালার ব্যবস্থা ছিল। শুধু এ রাজ্যই নয় ভিন রাজ্য থেকেও মানুষের ঢল ছিল চোখে পড়ার মতো। হুগলির শেওড়াফুলি- চন্দননগর – ব্যান্ডেল থেকে বহু ভক্ত গঙ্গা জল বাঁকে করে নিয়ে তারকেশ্বর পায়ে হেঁটে আসেন। অশান্তি এড়াতে ও নিরাপত্তার কারণে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে মন্দির চত্ত্বরে।


Previous articleমুকুটমণির পর কুনার! লোকসভা ভোটের মুখে দল ছাড়লেন ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ
Next articleসাতসকালে বল্লভ ভবনের সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা