Friday, August 22, 2025

কোথাও জন্মহার বেশি, কোথাও কম। জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষায় কতটা বিপাকে বিশ্ব? শিশু জন্মহার এখন আরও কমে ০.৭২ শতাংশে নেমে এসেছে। গত ২০২২ সালে ছিল ওই হার ছিল ০.৭৮ শতাংশ। সরকারি তথ্য বলছে দক্ষিণ কোরিয়ায় শিশুদের জন্মহার আগে থেকেই বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম ছিল, কিন্তু এখন পরিস্থিতি আরও গুরুতর। আগামী বছর এই সংখ্যা আরও কমবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জন্মহার বাড়ানোর জন্য এবার টাকা দিয়ে সাহায্য করার কথাও বলা হয়েছে। পৃথিবীর কয়েকটি দেশে যেমন ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে চিত্রটা অন্যরকম। তিনটি দেশেই ঘন জনবসতিপূর্ণ। এই দেশগুলোতে আবার বাড়তে থাকা জনসংখ্যায় রাশ টানতে সরকার একাধিক পদক্ষেপ করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন জনসংখ্যা এবং যুব প্রজন্মের জনসংখ্যার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে জন্মের হার অন্তত ২.১ শতাংশ হওয়া উচিত। এর থেকে কম হলে যে কোনও দেশে সমস্যা বাড়তে শুরু করে। চিন এই ঘটনার জলজ্যান্ত উদাহরণ। অতীতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কয়েক দশক ধরে এক সন্তান নীতি গ্রহণ করেছিল দেশটি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশের জনসংখ্যা শুধু কমতে শুরু করেছে তাই নয়, আগামী ৩০-৪০ বছরে সেখানে কাজ করা তরুণদের সংখ্যাও কমতে শুরু করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাপানে জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা শুরু হয়েছিল ২০০৫ সাল থেকে, গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে জনসংখ্যা প্রায় আট লক্ষ কমেছে বলে সরকারি সূত্রে খবর। কোরিয়ার মতো জাপানের নারী-পুরুষরাও অবিবাহিত থাকতে পছন্দ করে। সেই কারণে সেখানকার সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে একটি মন্ত্রণালয় তৈরি করেছে যেখানে যুবসমাজকে বিয়ের জন্য রাজি করাতে নানা পদক্ষেপ করা হয়। কিন্তু তাতেও খুব একটা ইতিবাচক ফল মেলেনি। প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এই প্রবণতাকে ‘জাপানের সবচেয়ে গুরুতর সংকট’ বলে অভিহিত করেছেন। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডেও একই ছবি। দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি কিছুটা অন্যরকম। ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশসহ বিশ্বের তিনটি বৃহত্তম দেশে জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ভারতে ১৯৭০-এর দশকে ‘হাম দো, হাম দো, হাম দো’র মতো পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি ছোট শহর ও গ্রামীণ অঞ্চলে এটি প্রত্যাশিত প্রভাব ফেলতে পারেনি। কেরালা, গোয়া, জম্মু ও কাশ্মীর, গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং অন্যান্য অনেক রাজ্যে জন্মহার রিপ্লেসমেন্ট রেটের নীচে নেমে গেছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বাড়লেও সেখানকার সরকার দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আবার পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ যার জন্মহার প্রতিস্থাপনের হারের চেয়ে অনেক বেশি। এবার যদি ইউরোপের দিকে তাকানো যায় তাহলে বোঝা যাবে যে বিয়ে বা সন্তান ধারণের প্রবণতা আগের থেকে কমছে। অদূর ভবিষ্যতে জীববৈচিত্রে এর গভীর প্রভাব পড়তে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


Related articles

আইনি জটিলতা কাটিয়ে স্নাতকের মেধাতালিকা প্রকাশ, শুরু হচ্ছে ভর্তি: জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

আইনি জটিলতা কাটিয়ে স্নাতকস্তরে প্রকাশিত হল অনলাইনে পোর্টালে ভর্তির ফলাফল। শুক্রবার ফল (Result) প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই ভর্তি প্রক্রিয়া...

কিছু হাই কোর্টের বিচারপতির কর্তব্যবোধ কম পড়ছে: মত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির

একাধিক হাই কোর্টের বিচারপতিদের স্বরূপ বাংলায় অনেক আগেই খুলে গিয়েছে, যখন হাই কোর্টের বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে...

মোদিজি আসুন বাংলার উন্নয়ন দেখে যান: কটাক্ষ চন্দ্রিমার

“ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে আবার আসতে শুরু করেছেন। এবার থেমে থাকুন দাদা।“ নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া...

স্বপ্নভঙ্গ নয়, মুক্তির লড়াই: জাতীয় স্তরের রেফারি হলেন গোপীবল্লভপুরের মনি খিলাড়ি

এ গল্প কোনো স্বপ্নভঙ্গের নয়, বরং শৃঙ্খল ভাঙার গল্প। কনকনে শীতের রাতে বাড়ি থেকে পালিয়ে নিজের বিয়ে ভেঙে...
Exit mobile version