ভবানীপুরের বাসিন্দার নির্মম হত্যাকাণ্ডে পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শিলিগুড়ির (Siliguri) কর্মসূচি কাটছাঁট করে তিনি সোজা আসেন ভবানীপুরে ভব্য লাখানির বাড়িতে। সেখানে লাখানি পরিবারকে সমবেদনা জানান মুখ্যমন্ত্রী। পরে সংবাদ মাধ্যের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, “এই ঘটনা পরিকল্পিত খুন। আমার সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই।“ পুলিশ খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ২জনকে গ্রেফতার করে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

দুদিন নিখোঁজ থাকার পরে নিমতায় উদ্ধার হয় ভবানীপুরের (Bhabanipur) ওষুধ ব্যবসায়ী ভব্য লাখানির দেহ। ঘটনায় ইতিমধ্যে ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। বুধবার, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি যান ভবানীপুরে। খুনের ঘটনার খবর পেয়ে শিলিগুড়ি থেকে সোজা ভবানীপুরে আসেন মমতা (Mamata Banerjee)। দীর্ঘক্ষণ শোকস্তব্ধ পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “শিলিগুড়িতে একটা স্যাড নিউজ পেয়েছিলাম। তাই মিছিল ক্যান্সেল করে চলে এসেছি। সিধেসাদা মানুষ ছিলেন। মেডিসিনের ব্য়বসা করতেন। ওরা পুলিশের কাছে মিসিং ডায়েরি করে। পুলিশ কিছুক্ষণের মধ্যে গ্রেফতার করেছে। আমি মনে করি এরা ক্রিমিনাল নয়। ক্রিমিনালের চেয়েও বড় ক্রিমিনাল।’’ মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এই ঘটনা পরিকল্পিত খুন। পুলিশের থেকে রিপোর্ট দেখেন তিনি।
এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়েছে লাখানি পরিবার। প্রত্যেক সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, “দুটো বাচ্চা ছেলে, মা এবং স্ত্রী রয়েছে পরিবারে। একটা ছেলে কালও পরীক্ষা দিয়ে এসেছে। স্বাভাবিক ভাবে পুরো পরিবারটাই ভেঙে পড়েছে।“ ভব্য লাখানির দুই নাবালক পুত্র। এক জন দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা দিচ্ছে। অন্য জন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ওদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই।

পুলিশ (Police) কমিশনার বিনীত গোয়েল জানান, ব্যবসা সংক্রন্ত বিষয়ে টাকা পয়সা লেনদেন নিয়েই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত অনির্বাণ গুপ্ত ও সুমন দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
