এসএসসিতে দুর্নীতি প্রমাণিত হলে বাতিল হতে পারে সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ নিয়োগ,মন্তব্য হাই কোর্টের

তাঁর মন্তব্য, ২৩ লাখ চাকরিপ্রার্থী কী দোষ করেছিলেন? তাঁরা শুধু চেয়েছিলেন যে নিয়োগ প্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়।

এসএসসি মামলায় বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, নিয়োগ দুর্নীতি প্রমাণিত হলে বাতিল করা হতে পারে সম্পূর্ণ নিয়োগ কিংবা গোটা নিয়োগের অংশ বিশেষ। এই দু’টি বিকল্প পথই এখনও পর্যন্ত আদালতের কাছে রয়েছে। বুধবার এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন,  যদিও এটি একেবারে প্রাথমিক পর্যায় এবং এখনও অনেক কিছু খতিয়ে দেখবে আদালত। তবে বিচারপতি এদিন মন্তব্য করেন, যদি সবটা অবৈধ হয়, তবে পরিণতি যা হওয়ার তাই হবে।

এদিন বিচারপতি জানতে চান, কেউ পিছনের দরজা দিয়ে চাকরি পেলে তার সঙ্গে কি করা উচিত? এদিন আদালতে ফের কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিতর্কিত চাকরিপ্রাপকরা। সেই সময়েই বিচারপতির মন্তব্য, ‘কমিশনকে বিশ্বাস করতে না পারলে তো গোটা নিয়োগ বাতিল করা উচিত। তাহলে গোটা প্রক্রিয়াটাই তো অস্বচ্ছ।’ তাঁর মন্তব্য, ২৩ লাখ চাকরিপ্রার্থী কী দোষ করেছিলেন? তাঁরা শুধু চেয়েছিলেন যে নিয়োগ প্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়।

উল্লেখ্য, এদিন আদালতে বিতর্কিত চাকরিপ্রাপকদের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র বলেন, এসএসসির তরফে আদালতের সামনে সব কথা বলা হচ্ছে না। তাঁর দাবি, কমিশনের কারা কারা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, সেটা প্রকাশ্যে আনা হোক। বিশেষ করে ওএমআর শিটের মূল্যায়ন ও ওএমআর স্ক্যান করার বরাত কাকে কীভাবে দেওয়া হয়েছিল, সেটা যাতে স্পষ্ট জানানো হয়, সেই দাবিও তোলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘টেন্ডার দেওয়ার প্রক্রিয়া কমিশনের দফতরেই হয়েছিল। এখন কমিশন বলছে যে তারা সিবিআই-এর রিপোর্টে নাম থাকা ডেটা স্ক্যান টেক সংস্থার নাম জানে না। এটা সম্ভব ? এই কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা কী?’ সে কথা শুনেই বিচারপতি বলেন, ‘যদি কমিশনকে বিশ্বাস না করা যায় তাহলে তো গোটা নিয়োগপ্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়া উচিত।’

এরই পাশাপাশি বিচারপতি এও মন্তব্য করেন, ‘এখন বিতর্কিত চাকরিপ্রাপক এবং তাদের পরিবারের ১০ হাজার লোকের কথা বলা হচ্ছে। যে ২৩ লাখ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাঁদের কথাও ভাবতে হবে তো।

 

 

Previous article‘ফ্লাওয়ার ম্যাসাকার’-এরপরও ত্রাণ নিয়ে গিয়ে মৃত ৪০০ শরণার্থী, দাবি গাজার
Next articleদ্বিতীয়বার যাবজ্জীবন জেল! প্রাক্তন সাংসদ মুখতার আনসারির সাজা ঘোষণা আদালতের