লোকসভা নির্বাচন পরিচালনায় একগুচ্ছ নির্দেশ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

গণতন্ত্রের সব থেকে বড় উৎসব শুরু হতে চলেছে। আজ ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার শুরুতেই অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনার কথা জানায় কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, ১৬ জুন ১৭তম লোকসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এবছর সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন হবে। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ভোট। তারিখ ঘোষণার পাশাপাশি সুষ্ঠু ভোট পরিচালনা করতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে কমিশন।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের গাইডলাইন

    • লোকসভা ভোটের জন্য নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে
    • ‘নো ইওর ক্যান্ডিডেট’ নামে নতুন অ্যাপ চালু করা হচ্ছে, যেখানে প্রার্থীদের বিষয়ে বিশদে জানা যাবে
    • সন্ত্রাস মোকাবিলায় জেলায় জেলায় কন্ট্রোল রুম, অভিযোগ এলেই কড়া পদক্ষেপ
    • মোট ভোটার ৯৬.৮ কোটি, যার মধ্যে ৪৯.৭ কোটি পুরুষ এবং ৪৭.১ কোটি মহিলা
    • নতুন ভোটারের সংখ্যা ১কোটি ৮২ লক্ষ
    • দেশের ১২টি রাজ্যে মহিলা ভোটারদের সংখ্যা বেশি
    • ১০.৫ লক্ষ ভোট কেন্দ্র, ৫৫ লক্ষ ইভিএম থাকছে
    • কারোর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারা থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
    • কোনও প্রার্থীর ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকলে সেই সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে
    • প্রার্থীদের অন্তত তিন বার সংবাদমাধ্যমে নিজেদের তথ্য প্রকাশ করতে হবে
    • সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী
    • কোনও রকম চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ভোটের দায়িত্বে রাখা যাবে না
    • প্রত্যেক বুথ কেন্দ্রে প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে
    • পুরুষ এবং মহিলাদের আলাদা আলাদা শৌচালয় থাকবে
    • প্রবীণ এবং বিশেষ ভাবে সক্ষম যাঁরা ভোট দিতে আসতে পারবেন না, তাঁদের ভোট বাড়ি গিয়ে নিয়ে আসা হবে
    • টাকার অপব্যবহার হতে দেওয়া যাবে না
    • সমস্ত বিমানবন্দরগুলির দিকেও নজর রাখা হচ্ছে, রাজ্যগুলিতে কোনও হেলিকপ্টার নামলে তা অনুসন্ধান করে দেখা হবে
    • সংবাদমাধ্যম ও সমাজমাধ্যমে ভুয়ো খবর নয়
    • নির্বাচনী প্রচারে হেট স্পিচ, ধর্মীয় আক্রমণ, ব্যক্তিগত আক্রমণ করা যাবে না
    • আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকাগুলিতে নজরদারির জন্য ‘ড্রোন’ উড়বে

এদিন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগেই কমিশনের তরফে জানানো হয় হিংসামুক্ত ভোট করাতে গিয়ে মূলত ৪টে ‘M’ নিয়ে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। রাজীব বলেন, অষ্টাদশ লোকসভা ভোট যাতে  রক্তস্নাত না হয় সেইদিকে নজর রাখা হচ্ছে। মাসল (পেশিশক্তি), মানি (অর্থশক্তি), মিস ইনফরমেশন (ভুয়ো তথ্য) এবং মডেল কোড অফ কনডাক্ট (আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি)- এই ‘ফোর এম’ যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেইদিকে সকলের সজাগ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। এই ব্যাপারে রাজ্যের জেলা শাসক থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনী সকলকেই তৎপর থাকতে হবে। নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সারা দেশে নির্বাচনী আচরণবিধি বলবৎ হয়ে গেছে।