Thursday, December 25, 2025

“জমি আন্দোলনের পবিত্র মাটি সঙ্গে রাখবো!” সিঙ্গুর থেকে প্রচার শুরু রচনার

Date:

Share post:

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এবার অন্যতম নজরকাড়া কেন্দ্র হতে চলেছে হুগলি। যেখানে দুই টলি অভিনেত্রীর লড়াই। বিজেপি প্রার্থী তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এবার তৃণমূলের বাজি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিগেডের সভা থেকেই হুগলির কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে রচনার নাম ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক।

শনিবার থেকেই প্রচারে নেমে পড়লেন “দিদি নাম্বার ওয়ান” খ্যাত রচনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমি আন্দোলনের মাটি সিঙ্গুর থেকেই তাঁর প্রচার শুরু করলেন রচনা। এদিন সিঙ্গুরে পা রাখতেই রচনাকে নিয়ে উন্মাদনায় ফেটে পড়লেন তৃণমূলের কর্মি-সমর্থকরা। তাঁকে দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন অনেক সাধারণ মানুষও। ভিড়ের মাঝে থেকেই স্লোগান উঠল, “দিদি নাম্বার ওয়ান জিন্দাবাদ”।

এদিন দুপুর দুটো নাগাদ সিঙ্গুরে এসে পৌঁছন রচনা। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না সহ হুগলি লোকসভার অন্তর্গত সাত বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক ও নেতৃত্ব। প্রথমেই ডাকাত কালীমন্দিরে পুজো দেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। পাশের একটি শিব মন্দিরেও পুজো দেন। মন্দির চত্বরে উলু ধ্বনি- শঙ্খ ধ্বনি- ঢাকের বাজনায় স্বাগত জানানো হয় রচনাকে। ডাকাত কালীমন্দির থেকে বেরিয়ে পায়ে হেঁটে রতনপুর লোহাপট্টিতে যান রচনা। পথে একটি জায়গায় দেওয়ালে নাম লেখার কাজেও হাত মেলান।

কর্মিসভায় যোগ দিয়ে রচনা বলেন, “আপনাদের সকলের এই উচ্ছাস দেখে আমি অভিভূত। এটাই তো পরম পাওনা। দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আমদের নেতা অভিষেক আমাকে এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছেন। আমি কৃতজ্ঞ। আমি জানি, আপনারা আমার পাশে আছেন। আমি জানি, আপনাদের আশীর্বাদ আমি পাবো। মেয়েরা তো আমাকে খুব ভালোবাসেই, ছেলেরাও ভালোবাসে। প্রথমবার রাজনীতির মঞ্চে এসে যে ভালোবাসা সম্মান পেলাম, তা ভোলার নয়।”

সিঙ্গুর থেকে তাঁর প্রচার শুরু নিয়ে রচনা বলেন, “এই মাটি থেকেই একদিন দিদি আন্দোলন শুরু করেছিলেন, এই মাটিতে দাঁড়িয়ে দিদি লড়াই সংগ্রাম করেছেন। তাই সিঙ্গুরের পবিত্র মাটি থেকে আমার প্রচার শুরু করলাম। এখানকার মাটি আমি নিয়ে যাব দিদির কালীঘাটের বাড়িতে। বলবো, দিদি সিঙ্গুরের পবিত্র মাটি সঙ্গে এনেছি। দিদি ভীষণ খুশি হবেন। দিদি একটু অসুস্থ। তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি আশীর্বাদ করেছেন। আমি দিদির সঙ্গে দেখা করে বলবো। ভোটের ফল কী হবে জানি না। তবে আমি সিঙ্গুরের মন জয় করে এসেছি।” রচনার মুখে এমন কথা শোনার পর হাততালিতে ফেটে পড়ে গোটা এলাকা। জয় বাংলা স্লোগান ওঠে।

লোহাপট্টিতে একটি কর্মিসভা করে ধনিয়াখালি বিধানসভা কেন্দ্রের দিকে রওনা হন রচনা। ধনিয়াখালি বাসস্ট্যান্ডে সভার পর চুঁচুড়ার রাজরাজেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেবেন তিনি।

spot_img

Related articles

সময়ের দেরিতেই বাঁধা প্রেমের গল্প-২৫ দিনের মাইলস্টোন ছুঁয়ে হলে ‘দেরি হয়ে গেছে’

সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায় নস্টালজিয়া, আবেগ আর রহস্যের মিশেলে দর্শকদের মন জয় করে প্রেক্ষাগৃহে টানা ২৫ দিনের বেশি সময় ধরে সফলভাবে...

নতুন তিন বিমান সংস্থা: ইন্ডিগোর একচেটিয়া দখল ভাঙছে দেশের আকাশে 

দেশের আকাশপথে একচেটিয়া দখল ভাঙতে যাচ্ছে। ইন্ডিগোর বিমান বাতিল ও যাত্রী অসুবিধার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন তিনটি সংস্থাকে...

ক্রিসমাস ইভে পর্তুগিজ চার্চে সকলের মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা মুখ্যমন্ত্রীর

ধর্ম যার যার, উৎসব সবার- এই মতাদর্শে বিশ্বাসী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যতটা শ্রদ্ধা ও গুরুত্বের...

শালবনিতে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হুগলিতে ওয়্যারহাউস! সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার 

কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি শিল্প পরিকাঠামো বৃদ্ধি করতে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে...