স্বাধীন ভারতের সর্ববৃহৎ দুর্নীতি বিজেপির ইলেক্টোরাল বন্ড, অমিত শাহের পাল্টা দাবি সাংসদ সাকেতের

বিজেপির ইলেক্টোরাল বন্ড ব্যবস্থাকে স্বাধীন ভারতের সর্ববৃহৎ দুর্নীতি বলে দাবি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলের। ইলেক্টোরাল বন্ডের তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর কার্যত মুখ পুড়েছে বিজেপির। তড়িঘড়ি নিজেদের দিক থেকে সাফাই দিতে মাঠে নামতে হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। যদিও বিজেপির প্রাপ্ত অর্থের ব্যাখ্যা দিতেও ব্যর্থ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। গোটা দেশের মানুষকে ধর্মীয় লড়াইতে মাতিয়ে দিয়ে গত ১০ বছর ধরে কোটি কোটি টাকা নিজেদের টাঁকশালে জমা করেছে বিজেপি, এমনটাও নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ।

অমিত শাহ দাবি করেছিলেন ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলি যে অপপ্রচার চালাচ্ছে, বন্ড সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য প্রকাশিত হলে তাদের মুখ বন্ধ হবে। যদিও বিজেপির পক্ষে ৬ হাজার কোটি টাকার বন্ড নিয়ে কোনও তথ্য পেশ করতে পারননি তিনি। তাঁর দাবি বিজেপির বন্ড থেকে ৩০৩ জন সাংসদের মিলিত আয় ওই টাকা। আর এখানেই অমিত শাহের মিথ্যাচারের পর্দাফাঁস করেছেন তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে। তাঁর প্রশ্ন, বিজেপির ৩০৩ জন সাংসদের জন্য এই বন্ডে টাকা আদায় হয়েছে শুধুমাত্র? পরাজিত আসনে কী বিজেপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি? তাহলে বন্ড থেকে প্রাপ্ত অর্থ শুধুমাত্র জয়ী সাংসদদের হিসাব হিসাবে কেন পেশ করা হচ্ছে?

সেই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন নির্বাচনী বন্ডে এই অর্থ বিগত ১০ বছর ধরে আদায় করে আসছে বিজেপি। তার মধ্যে বিধানসভা নির্বাচনও রয়েছে। অর্থাৎ যে প্রত্যেকটি আসনে বিজেপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছে সেই সব আসনের জন্য এই তোলাবাজি চালিয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি অন্যান্য যে কোনও রাজনৈতিক দলের থেকে কেন বিজেপি এত হাজার কোটি টাকা বেশি পেয়েছে নির্বাচনী বন্ডে তার দুটি স্পষ্ট যুক্তি পেশ করেন সাংসদ। ইলেক্টোরাল বন্ডে টাকা দিলে বিভিন্ন কাজের বরাত পাওয়ার প্রলোভন ক্ষমতায় থেকে বিজেপির পক্ষেই দেখানো সম্ভব। দ্বিতীয়ত, সংস্থাগুলিতে ইডি, সিবিআই পাঠিয়ে তাদের তদন্তের ভয় দেখানো হয়েছে। তারা ইলেক্টোরাল বন্ডে টাকা দিলেই রাতারাতি তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই ব্যাখ্যার সঙ্গেই সাংসদের দাবি বিশ্বের কোনও সভ্য দেশে এভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে তোলাবাজি সম্ভব না।