Tuesday, November 11, 2025

নির্বাচনী বন্ডের আরও কেলেঙ্কারি! ২০১৯-এর এপ্রিলের আগের লেনদেন প্রকাশের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন

Date:

এবার নির্বাচনী বন্ডের আরও বড় কেলেঙ্কারি প্রকাশ পেতে চলেছে। লোকসভা নির্বাচনের মুখে শীর্ষ আদালতের ধমকের জেরে নির্বাচনী বন্ডের বিবরণ প্রকাশ করেছে SBI। জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনে (Election Commission)। সুপ্রিম কোর্ট ১২ এপ্রিল ২০১৯ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বিক্রি হওয়া নির্বাচনী বন্ডের প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু মার্চ ২০১৮ থেকে ১১ এপ্রিল ২০১৯-এর মধ্যে বিক্রি হওয়া ইলেক্টোরাল বন্ডগুলির মাধ্যমে কোন দলে গিয়েছে টাকা? জানতে চেয়ে শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) আবেদন করেছে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। অনুমান বিপুল অঙ্কের এই অর্থ গিয়েছে BJP-র তহবিলে। কিন্তু সময়সীমার বেড়াজালে সেই তথ্য রয়ে গিয়েছে অন্তরালে। সোমবারই, প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশনে এই আবেদনের শুনানির সম্ভাবনা।

১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond) প্রকল্পকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করার সময় সুপ্রিম কোর্ট SBI-কে ১২ এপ্রিল ২০১৯ থেকে বিক্রি হওয়া বন্ডের তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করারও নির্দেশ দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনকে। কিন্তু ৩১ মার্চ ২০১৮ থেকে ১১ এপ্রিল ২০১৯-এর মধ্যে ১৮৮৭১টি বন্ড বিক্রি করে SBI। যার মূল্যে ১৬৫১৮ কোটি টাকা। যে তথ্য এসবিআই প্রকাশ করেছে সেটা এর পরের। ‘সিটিজেনস ফর রাইটস ট্রাস্ট’ তরফে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে ১৬৫১৮ কোটি টাকার এই বিপুল অর্থ কাদের তহবিলে গেল, শীর্ঘ্রই প্রকাশ করুক এসবিআই। কারণ, যেহেতু ইলেক্টোরাল বন্ড (Electoral Bond) অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করা হয়েছে, সুতরাং এই তথ্য পরে আর পাওয়া যাব না। একটা বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি ধামাচাপা পড়ে যাবে।

তথ্য জানার অধিকার আইনের অধীন আবেদনে দাবি করা হয়েছে, ৩১ মার্চ ২০১৮ থেকে ১১ এপ্রিল ২০১৯-এর মধ্যে যে নির্বাচনী বন্ড কেনা-বেচা হয়েছে তার কেনার তারিখ, পরিমাণ, দাতাদের নাম এবং দলগুলির নাম প্রকাশ করা হোক। এসবিআই থেকে এই তথ্য পাওয়ার পর, নির্বাচন কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে এই তথ্য প্রকাশ করুক। কারণ যেহেতু বন্ড স্কিমটি অসাংবিধানিক বলে প্রমাণিত, সেই জন্য ভোটাররা শুরু থেকেই সব তথ্য বিশদ জানার অধিকারী।

আরও পড়ুন: আগের থেকে ভালো আছেন মুখ্যমন্ত্রী, সোমে কাটা হতে পারে সেলাই

অনুমান, এই নির্বাচনী বন্ডের টাকা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরে। এখনও পর্যন্ত যে তথ্য প্রকাশ পেয়েছে তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বিজেপিই। তার আগের টাকাও তাদের তহবিলেই ঢুকেছে বলে অনুমান। কারণ, ওই সময়ই দেশের বিভিন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ঘোড়া কেনাবেচা করেছে পদ্মশিবির। এখন এই তথ্য সামনে না এলে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি অন্ধকারেই থেকে যাবে। সোমবার, আবেদনের শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।




Related articles

সঙ্গীত পরিচালকের ভূমিকায় সৃজিত?

১৫ বছর টলিউডে রাজত্ব করেছেন। ঝুলিতে রয়েছে দুর্দান্ত সব ছবি। কিন্তু এবার সঙ্গীত পরিচালকের ভূমিকায় কাজ করতে চলেছেন...

উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সেমিস্টারের আনসার কী প্রকাশ! মিলিয়ে দেখার সুযোগ পরীক্ষার্থীদের

প্রকাশিত হল উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সেমিস্টারের আনসার কী। মঙ্গলবার অনলাইনে এই উত্তরপত্র প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা...

কোন ধারায় আমি সাসপেন্ড? পার্থর বিস্ফোরক চিঠি দলীয় নেতৃত্বকে

দলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাঠানো চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই। দুর্নীতির অভিযোগে সাসপেনসেনকে অবৈধ বলে ব্যাখ্যা করেছেন পার্থ।...

দুদফায় ভোটগ্রহণ শেষে বিহারের Exit Polls: নীতীশ না তেজস্বী-শেষ হাসি হাসবেন কে?

দুদফায় ভোটগ্রহণের শেষের পরেই প্রকাশিত বিহারের বুথ ফেরত সমীক্ষা। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে জোট শরিকদের দুর্বলতায় মসনদে বসা...
Exit mobile version