বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়ের হাসপাতালের বিল মেটালেন গাড়িচালক! 

শুনতে হয়তো একটু অবাক লাগে কিন্তু এটাই সত্যি। আসলে বিপদের দিনেই মানুষ আপন আর পরের মধ্যে তফাৎটা বুঝতে পারে।

টলিপাড়া থেকেই খবরটা ছড়িয়ে পড়েছিল। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বাসন্তী চট্টোপাধ্যায় (veteran actress Basanti Chatterjee) হাসপাতালে শয্যাশায়ী। মাসখানেকের উপর আইসিইউতে (ICU)চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মাঝে অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে কোমায় চলে গেছিলেন অভিনেত্রী। যদিও আপাতত সেই অবস্থা কিছুটা সামাল দেওয়া গেছে। কিন্তু বাসন্তী দেবীর এমন কঠিন সময়ে পাশে নেই তাঁর পরিবার, হাসপাতালের বিল মেটালেন গাড়ির চালক!

শুনতে হয়তো একটু অবাক লাগে কিন্তু এটাই সত্যি। আসলে বিপদের দিনেই মানুষ আপন আর পরের মধ্যে তফাৎটা বুঝতে পারে। বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়ের অবস্থাও ঠিক সেই রকম। টেলিভিশন জগতের সব ধরনের চরিত্রে যিনি অনায়াসে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন, সকলে যাঁকে মাথায় তুলে রাখে, তাঁর শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতিতে পাশে নেই নিজের পরিবার। চমকে ওঠার মতো বিষয় এই যে, এক কন্যা এক পুত্র থাকা সত্ত্বেও, বাসন্তী দেবীকে ফিক্স ডিপোজ়িট ভেঙে, লোকের কাছে পয়সা ধার করে হাসপাতালের বিল মেটাতে হয়েছে। অদৃষ্টের পরিহাস বোধহয় এতটাই নির্মম হয়। অভিনেত্রীর ড্রাইভারের নাম মলয় চাকি (Malay Chaki)। তিনি জানান, সরস্বতী পুজোর আগে কলকাতার এক বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাসন্তী দেবী। বিল হয়েছিল প্রায় ২ লাখ টাকা। অভিনেত্রীর সারথি মলয়বাবুর বন্ধুবান্ধবদের থেকে ধার বিল মিটিয়ে ছিলেন। অভিনেত্রী অবশ্য বাড়ি ফেরার পরই তাঁর চালককে সব টাকা দিয়েছেন। কিন্তু বিপদের দিনে পরিবার পাশে না থাকার আক্ষেপ যাইনি। বাসন্তী দেবীর কিডনির অবস্থা ভালো নয়। বার্ধক্যজনিত সমস্যার সঙ্গে একটা কিডনি খারাপ হয়ে যাওয়ায় মার্চ মাসের ১৩ তারিখ ফের তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। মলয় জানান, প্রথমবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় বাড়ি থেকে অভিনেত্রীর একমাত্র জামাই একদিন দেখা করতে এসেছিলেন। ছেলে-বউমাও ভিজিটিং আওয়ার্সে দেখা করে কর্তব্য সেরেছেন। ব্যাস ওইটুকুই। বাসন্তী দেবী দমদমের বাড়িতে একাই থাকেন, সঙ্গী বলতে শুধু পরিচারিকা। অভিনেত্রী মলয়কে নিজের ছেলের মতোই স্নেহ করেন। তাই ড্রাইভার যথার্থ সন্তানের মতো কাজ করেছেন। সূত্রের খবর, সংকটজনক পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠলেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত নন বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে টলিপাড়া।

Previous articleসিএএ নিয়ে স্থগিতাদেশ নয়, জবাব দেওয়ার সুপ্রিম নির্দেশ কেন্দ্রকে
Next articleদেশ বাঁচাও গণ মঞ্চের উদ্যোগে কনভেনশন ও সাংবাদিক বৈঠক