বিধানসভায় পাশ হওয়া দুটি বিলে সম্মতি দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল মঙ্গলবার ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিসকাল রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট (সংশোধনী) বিল, ও হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (সংশোধনী) বিল দুটিকে অনুমোদন দিয়েছেন বলে রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে। হাওড়া পুরসভা সংক্রান্ত বিলটি আজই রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছিল। রাজ্যপালের স্বাক্ষরের পর বিলগুলি ইতিমধ্যে নবান্নে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ মার্চ দু’টি বিলে স্বাক্ষর করেন রাজ্যপাল। তারমধ্যে ছিল বিধায়কদের বেতন সংক্রান্ত বিল ‘বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি (সদস্যদের বেতন) (সংশোধন) বিল, এবং ‘পশ্চিমবঙ্গ বেতন ও ভাতা (সংশোধনী) বিল। ফলে, বিল প্রাপ্তির দিনেই সম্মতি দিয়ে নজির সৃষ্টি করলেন রাজ্যপাল। কারণ, রাজ্যপালের স্বাক্ষরের জন্য একাধিক বিল আটকে রয়েছে বলে বহুদিন ধরেই অভিযোগ করছিল রাজ্য সরকার। ২০১৩ সাল থেকে বিধানসভায় পাশ হওয়া ২২টি বিল রাজভবনে আটকে রয়েছে বলে দাবি রাজ্য সরকারের। একপ্রকার তারই জবাব দিতে রাজ্যপাল সম্মতি দিয়েছেন বলে মনে করছে অভিজ্ঞমহল।
যদিও রাজভবন সূত্রে আরও দাবি, রাজ্যপালের কাছে কোনও বিল পড়ে নেই। বরং, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা দ্বারা পাস করা বিলগুলির নিষ্পত্তিতে নতুন কন্ট্রোল রুম চালু করেন তিনি। বিলের গুরুত্ব অনুযায়ী ওই কর্মসূচির অধীনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী/অথবা সচিবের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জায়গায় বসে বিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানানো হয়। এমনকী সরকার ও বিধানসভার মধ্যে সমন্বয়ের জন্য রাজ্যপাল রাজভবনে ৩ সদস্যের একটি নতুন সেলও গঠন করেছেন। যেখানে রয়েছেন রাজ্যপালের সচিবালয়ের অধিকারিকরা।
যে ২২ টি বিল আটকে রাখার অভিযোগ তোলা হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যও রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে রাজভবন। তাতে স্পষ্ট যে, ১২ টি বিল রাজ্য সরকারের কাছে ব্যাখ্যার জন্য মুলতুবি রয়েছে। একটি বিলে রাষ্ট্রপতি কিছু শর্ত-সহ সম্মতি দিয়েছেন। ২টি বিল রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য অপেক্ষা করছে। আর ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয় সম্পর্কিত বিল। যা এখন বিচারাধীন।
আরও পড়ুন- “বিজেপি প্রার্থী দেওয়ার আগেই আমরা নির্বাচন শেষ করে দেব”! দাবি তৃণমূল নেতার