কমিশনকে দিয়ে ‘নোংরা রাজনীতি’র অভিযোগ, সুপ্রিম নজরদারিতে ভোটের দাবি তৃণমূলের 

সোমবারই নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি রাজীব কুমারকে অপসারণ এবং বিবেক সহায়কে রাজ্য পুলিশের নতুন প্রধান হিসাবে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নজরদারিতে লোকসভা ভোট (Loksabha Election) করার দাবি তৃণমূলের। আজ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন (Derek o Brayen) লেখেন, বিজেপি কি জনগণের মুখোমুখি হতে এত ভয় পাচ্ছে যে কারণে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করতে হচ্ছে? আমলা বদলের সিদ্ধান্তকেও তুলোধোনা করে সাংসদ লেখেন, কমিশন নাকি হিজ মাস্টার ভয়েস? তার কথায় জনগণের মুখোমুখি হওয়ার সাহস নেই বিজেপি সরকারের, সেই কারণেই নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করা হচ্ছে নোংরা রাজনীতি করার কাজে। শুষ্ক ও অবাধে ভোট পরিচালনা করতে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারির কথা বলেছেন তিনি।

দেশে ভোট ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যেভাবে বিজেপির কথায় কমিশন কর্তারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তাতে সরব বাংলা। ভোট ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা শুরু হয়েছে। বাংলায় ৭ দফাতে ভোটের ঘোষণা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, সোমবারই নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি রাজীব কুমারকে অপসারণ এবং বিবেক সহায়কে রাজ্য পুলিশের নতুন প্রধান হিসাবে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে সাংবিধানিক সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ করেছে। আজ সকালে তৃণমূল সাংসদ ও ব্রায়েন এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘বিজেপির নোংরা রাজনীতি নির্বাচন কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করছে। বিজেপি কি মানুষের মুখোমুখি হতে এতটাই ঘাবড়ে গেছে যে তারা নির্বাচন কমিশনকে দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করছে? এইচএমভি নাকি ইসিআই? রাজ্য সরকারের নির্বাচিত অফিসারদের বদলি করা হচ্ছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা চাই ২০২৪ সালের নির্বাচন সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে হোক।’

Previous articleমঙ্গলে মুখ ভার আকাশের, আগামী তিনদিন বৃষ্টির পূর্বাভাস!
Next articleনজরে লোকসভা ভোট, ৩০ আসনে নির্বাচনী কমিটি তৈরি করল তৃণমূল!