কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে একমঞ্চে INDIA জোটের সব শরিক। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তাঁর গ্রেফতারির পর থেকেই প্রতিবাদে সামিল হয় বিজেপি বিরোধী সব দল। শুক্রবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হয়ে যাওয়ার পরেই কেন্দ্র সরকারের উদ্দেশ্যমূলকভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ব্যবহারের অভিযোগ জানাতে যাওয়ার কথা। এদিন বিকালে কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে বিরোধী দলের নেতারা জানান দেশের একাধিক দল যারা রাজ্যগুলিতে পরস্পরের বিরোধী হলেও দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে একজোট হয়ে অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন। যদিও কমিশনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

কমিশনে INDIA জোটের প্রতিনিধিরা মূলত যে অভিযোগ জানান তাতে উল্লেখ করা হয়, কমিশন নির্বাচনে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগের যে নীতি নিয়েছে তাকে প্রতিহত করছে কেজরির গ্রেফতারি। কেন্দ্র সরকার কোন কোন ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ব্যবহার করে নিজেদের নির্লজ্জতা ও ভয়ানক চেহারা তুলে ধরেছে সেই উদাহরণ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে ঝাড়খণ্ড ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীদের গ্রেফতারির পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩ বার বাংলার পুলিশের ডিজি পরিবর্তনের ঘটনাও উল্লেখ করা হয়। কেন্দ্রীয় এজেন্সি কতটা পক্ষপাতদুষ্ট তার প্রমাণ হিসাবে তুলে ধরা হয় বিজেপির একজনও এদের তদন্তে গ্রেফতার হননি।

সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রশ্ন তুলে ধরা হয় যে কমিশন রাজ্যের পুলিশ প্রধান থেকে সব ধরনের আধিকারিকদের পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হওয়ার পরে, তারা কেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না। পাশাপাশি সংবিধানের ৩২৪ নম্বর ধারার উল্লেখ করে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় এই ধরনের এজেন্সির বিরুদ্ধে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে নির্বাচন কমিশন। জোটের পক্ষ থেকে নির্বাচনকে নিরপেক্ষ, পক্ষপাতহীন ও বৈষম্যহীন করার আবেদন করা হয়।

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আইনজীবী অভিষেক মনু সাংভি এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ডেরেক ও ব্রায়েন ও নাদিমুল হক যোগ দেন। জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয় স্বল্প সময়ের মধ্যে আয়োজন করার ফলে যে দলের প্রতিনিধিরা যোগ দিতে পারেননি তাঁরাও পাশের থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
