আচার্য রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মানতে বাধ্য, আনন্দ বোসকে এক্তিয়ার বোঝালেন শিক্ষামন্ত্রী

যতই রাজ্যপালের হাতে ক্ষমতা দেওয়া থাকুক তাহলেও রাজ্যের আইনের বৈধতা নিয়ে কোনরকম প্রশ্ন করতে পারবেন না আচার্য তথা রাজ্যপাল। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মানতে বাধ্য রাজ্যপাল। সিভি আনন্দ বোসকে (CV Anand Bose) নিজের এক্তিয়ার বোঝালেন ওয়েব কুপার সভাপতি তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তিনি স্পষ্ট জানান, প্রতিশ্রুতি দিয়েও কোনটাই রাখেননি রাজ্যপাল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমতো মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এবং আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেও যাবতীয় তথ্য নিয়েও তার সমাধান করেননি। এর ফলে আলোচনা ও নিষ্ফলা হচ্ছে এবং সময় নষ্ট হচ্ছে। রাজ্য সদিচ্ছা দেখালেও রাজ্যপাল কোন ইচ্ছে দেখাচ্ছেন না।

এরপরেই আচার্য্যকে তাঁর এক্তিয়ার বুঝিয়ে দিয়ে ব্রাত্য বলেন, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়ে দিয়েছে, আচার্যকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনে চলতে হবে। তাকে যতই ক্ষমতা দেওয়া হোক না কেন রাজ্যের আইনের বৈধতা নিয়ে তিনি প্রশ্ন করতে পারবেন না। বরং ওই রাজ্যের আইন মানতে তিনি বাধ্য।

রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে সেখানে। রাজ্যের অভিযোগ, আচার্যের ভূমিকা এতটাই অস্বচ্ছ ও আইন বিরোধী যে প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় বিঘ্নিত হচ্ছে পঠনপাঠন থেকে প্রশাসনিক কাজ। শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী থেকে পড়ুয়ারা প্রত্যেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কেন্দ্রের শাসকদলের কথায় প্রভাবিত হয়ে সমস্যা তৈরি করছেন আনন্দ বসু।

এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে, রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্যের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শিক্ষামন্ত্রী। কারণ নিয়ম অনুযায়ী উপাচার্যকে অবশ্যই শিক্ষাজগতের লোক হতে হবে এবং তাঁর সর্বোচ্চ কাজের মেয়াদের বয়স সীমা হতে হবে ৬৫ বছর। বড়জোর সে ক্ষেত্রে ৬ মাস মেয়াদ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। কিন্তু বর্তমানের রবীন্দ্রভারতীতে যিনি উপাচার্য রয়েছেন তিনি তো শিক্ষা জগতের লোকই নন। উপরন্তু তাঁর বয়স ৬৮ বছর হয়ে গিয়েছে। রাজ্যপালের তুঘলকি সিদ্ধান্তের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যেভাবে অচলাবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে তা কোনওভাবেই সুস্থ মানুষের কাজ হতে পারে না।




Previous articleহায়দরাবাদ কামিন্সকে অধিনায়ক করায় অবাক অশ্বিন, কিন্তু কেন?
Next articleসুপ্রিম কোর্টের পর অস্বস্তি জারি নিম্ন আদালতেও! ফের জামিনের মেয়াদ বাড়ল কে কবিতার