আজ কী ঘটেছিল?

১৯৩১ সালে এদিন ভগৎ সিং, শিবরাম রাজগুরু ও সুখদেবের ফাঁসি হয়েছিল এদিন ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার জন সন্ডার্সকে হত্যার দায়ে। তাঁদের বিচারের নামে প্রহসন হয়েছিল— এই অভিযোগ রয়েছে সেই সময় থেকেই। ভগৎ সিংহের ফাঁসি রদ করা নিয়ে গান্ধীজি একাধিকবার লর্ড আরউইনকে মানবিক অনুরোধ করেন। ২৩ মার্চ কংগ্রেসের বার্ষিক সভায় যোগদান করার জন্য রাতে করাচির উদ্দেশে ট্রেন ধরার ঠিক আগে লর্ড আরউইনকে চিঠি লিখে তিনি বলেন, ‘‘ফাঁসির আদেশ কার্যকর করা এক সংশোধনাতীত কাজ।’’ তাই তিনি (আরউইন) যদি মনে করেন এই রায়দানে সামান্যতম ভুলের সম্ভাবনা আছে, তা হলে তাঁর উচিত এই দণ্ডাদেশ কার্যকর না করে পুনরায় বিবেচনা করা। গান্ধীজি যখন ট্রেনে ছিলেন, তখনই লাহোরে ভগৎ সিং এবং তাঁর সহযোগীদের ফাঁসির আদেশ কার্যকর করা হয়। আসলে সাধারণ আদালতের বদলে ভগতদের বিচার হয়েছিল বিশেষ ট্রাইবুনালে, যাতে তার রায়ের বিরুদ্ধে লন্ডনের প্রিভি-কাউন্সিল ছাড়া আর কোথাও আবেদনই না-করা যায়। ৪৫০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য না-শুনেই ফাঁসির হুকুম দিয়েছিল ওই ট্রাইবুনাল। নির্দেশ অনুয়ায়ী ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল ২৪ মার্চ। কোনও ম্যাজিস্ট্রেট তাতে থাকতে রাজি না-হওয়ায়, ফাঁসির পরোয়ানা যিনি লিখেছিলেন, সেই সাম্মানিক বিচারকই হাজির থেকে এক দিন আগে ফাঁসি কার্যকর করান। রাতে জেলের দেওয়ালে গর্ত খুঁড়ে দেহগুলি বার করে নিয়ে গন্দা সিং ওয়ালা গ্রামে দাহ করা হয়। চিতাভস্ম ফেলা হয় ১০ কিলোমিটার দূরে ফিরোজপুরে শতদ্রু নদীতে।

১৯৯৫ সালে শক্তি চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৩-১৯৯৫) এদিন চলে গেলেন। জনপ্রিয় কবি। ‘কবিতা’ পত্রিকায় তাঁর প্রথম কবিতা ছাপা হয়। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকাকে ঘিরে তাঁর খ্যাতি লাভ। ‘হে প্রেম হে নৈঃশব্দ্য’, ‘হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান’, ‘যেতে পারি কিন্তু কেন যাব’, তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। ১৯৭৫ সালে তিনি ভূষিত হন আনন্দ পুরস্কারে এবং ১৯৮৪-তে পান সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার। ছাত্র জীবনে ক্লাসছুট, স্বেচ্ছাচারী শক্তি আনন্দবাজার থেকে অবসর নেওয়ার পর বিশ্বভারতীর অনুরোধে ’৯৫ সালে পড়াতে রাজি হয়েছিলেন। তাঁর আকস্মিক অকালপ্রয়াণের সময় তিনি বিশ্বভারতীর অতিথি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পূর্বপল্লি গেস্ট হাউস। ১৯ নম্বর ঘর। শেষ দিন পর্যন্ত ছিলেন সে-ঘরেই। সেই ঘরে বসেই বৃষ্টির রাতে বাংলা বিভাগের পুনর্মিলন উৎসবের স্মারকপত্রের জন্য লিখেছিলেন শেষ কবিতা।— ‘হঠাৎ অকাল বৃষ্টি শান্তিনিকেতনে/ রাতভোর বৃষ্টি হল শান্তিনিকেতনে/ আমের মঞ্জরী পেল বৃষ্টি ও কুয়াশা/ বসন্তের মুখোমুখি শিমুল পলাশ।’

১৯০২ সালে চারুচন্দ্র চক্রবর্তী (১৯০২-১৯৮১) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। সাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক। তিনি জরাসন্ধ ছদ্মনামেই অধিক পরিচিত। দীর্ঘ কর্মজীবনে জেলের লৌহকপাটের মধ্যে যে মানুষগুলিকে দেখেছেন তাদের কথা ও কাহিনি তাঁর উপন্যাসে মূর্ত হয়ে উঠেছে। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের ১ মে ‘লৌহকপাট’-এর প্রথম পর্ব গ্রন্থের আকারে প্রকাশিত হয়। এরপর একে একে মোট চারটি পর্বে প্রকাশিত হয়েছে। আত্মজীবনীমূলক রচনা হল, দুটি খণ্ডে ‘নিঃসঙ্গ পথিক’। সব মিলিয়ে ২১টি উপন্যাস লিখেছিলেন। তাঁর উপন্যাস ‘তামসী’ অবলম্বনে হিন্দিতে ‘বন্দিনী’ নামে চলচ্চিত্রায়িত করেন বিমল রায়।

১৮৮০ সালে বাসন্তী দেবী (১৮৮০-১৯৭৪) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের পত্নী। সুভাষচন্দ্র বসুর মা প্রভাবতী বসু বাসন্তী দেবীকে বলতেন, “তুমিই সুভাষের আসল মা, আমি তো কেবল ধাত্রী।” অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন।

Previous article‘ভুল করে থাকলে সেটা শুধরে নিতে’, আইপিএল-এর প্রথম ম্যাচে নামার আগে জানালেন শ্রেয়স
Next articleচেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে নজির গড়লেন বিরাট, কি সেই রেকর্ড?