Monday, August 25, 2025

ভোটের মুখে MGNREGA-র মজুরি বৃদ্ধি কেন্দ্রের! ফের বঞ্চিত বাংলা, উঠছে বিধিভঙ্গে অভিযোগও

Date:

Share post:

লোকসভা নির্বাচনের (Lokshabha Election) আগে হাতে থাকা সব সংস্থা দিয়েই বিরোধীদের পরাজিত করতে চাইছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। বাদ যাচ্ছে না নির্বাচন কমিশনও! ভোটের মুখে MGNREGA-র দৈনিক মজুরি বাড়াল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবারই এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। সেখানেও রয়েছে বাংলার প্রতি বঞ্চনা। রাজ্য ভিত্তিক মজুরি বৃদ্ধি হয়েছে। আর যেখানে সর্বোচ্চ ৩৪ টাকা পর্যন্ত দৈনিক বৃদ্ধি করা হয়েছে, সেখানে বাংলার বৃদ্ধি মাত্রা ১৪ টাকা। কীভাবে ভোটের মুখে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।

এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে বাংলার প্রাপ্য ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখে কেন্দ্রের মোদি সরকার। কেন্দ্রের কাছে বারবার বিভিন্ন ভাবে দরবার করেও কাজ না হওয়ায়, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে রাজ্য সরকার সেই প্রাপ্য দিতে শুরু করেছে। এবার মজুরি বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও বঞ্চিত বাংলা। ১০০ দিনের কাজের মজুরি বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের দৈনিক মজুরি বাড়ানো হয়েছে ১৩ টাকা। আগে ২৩৭ টাকা করে মজুরি পেতেন কর্মীরা। সেটা বেড়ে হল ২৫০ টাকা। শতাংশের হিসাবে ৫.৫ শতাংশ। অথচ বিজেপি শাসিত রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের দৈনিক মজুরি বৃদ্ধির হার অনেক বেশি। সবথেকে বেশি দেওয়া হচ্ছে হরিয়ানাতে। সেখানে ৩৭৪ টাকা দৈনিক বৃদ্ধি হয়েছে। আবার শতাংশের হিসেবে মজুরি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে গোয়াতে। দৈনিক মজুরি বেড়েছে একলাফে ৩৪ টাকা। মোদি রাজ্য গুজরাটে মজুরি বৃদ্ধির হার প্রায় ১০ শতাংশ।

আরও পড়ুন: কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর মামলা খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে!

পাশাপাশি অভিযোগ, এই ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছে কেন্দ্র। বিরোধীদের প্রশ্ন, ভোট ঘোষণা হওয়ার পরে কীভাবে ১০০ দিনের কাজের মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা করে মোদি সরকার। যদিও কেন্দ্র সাফাই দিয়েছে, বাজেটেই এই বিষয়ে ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এটা শুধু বিজ্ঞপ্তি জারি হল। সেটাও নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই বৃদ্ধিকে তো প্রচারের হাতিয়ার করবে বিজেপি। শুধু তাই নয়, আগামী পয়লা এপ্রিল থেকেই এই বৃদ্ধি কার্যকর হবে। সুতরাং, স্বাভাবিক ভাবেই এটা ভোটারদের প্রভাবিত করার কৌশল বলে সরব হয়েছে বিরোধীরা।

একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে নির্বাচন কমিশনই (Election Commission) বা এই অনুমতি দিল কীভাবে! যদি কোনও বৃদ্ধি না হত, তাহলে রুটিন নোটিফিকেশন পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জারি হতে পারত। কিন্তু যখন মজুরি বৃদ্ধি হয়েছে, এবং সেটাও সমহারে হয়নি- তখন তার অনুমতি দেয় কী করে নির্বাচন কমিশন? কেন্দ্রীয় এজেন্সির মতো ইনির্বাচন কমিশনকেও কেন্দ্রে নিজেদের রাজনৈতিক অভিসন্ধির জন্য কাজে লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির।




spot_img

Related articles

কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি: দু-মলাটে বাংলার দুর্গোৎসবের ৪৩৪ বছরের ইতিহাস

রবিবাসরীয় সন্ধেয় গড়িয়াহাটের একটি ব্যাঙ্কয়েটে আড্ডার আবহে প্রকাশিত হল সাংবাদিক-লেখক সম্রাট চট্টোপাধ্যায়ের বই 'কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি'। উপস্থিত...

তৃণমূল–সমাজবাদী পার্টির পথে এবার আম আদমি পার্টি! জেপিসিতে থাকছে না আপও 

সংবিধান সংশোধনী বিল খতিয়ে দেখতে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিল আম আদমি পার্টি।...

মোদির বিরুদ্ধে সরব! হিটলারি কোপে লাদাখের সোনম ওয়াংচু

দফা এক দাবি এক। লাদাখের জন্য একই দাবিতে আজও অনড় সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচু (Sonam Wangchuk)। লাদাখের জমি, যা...

শান্তিপুরে মহিলা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ভোটে গোহারা বিজেপি! ২৬-৪-এ জয়ী তৃণমূল 

এসআইআর ইস্যু নিয়ে রাজ্যে বিজেপির মাতামাতির মধ্যে নদিয়ার শান্তিপুরে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্লাস্টার কমিটির নির্বাচনে বড় সাফল্য পেল...