Wednesday, December 3, 2025

ভোটের মুখে MGNREGA-র মজুরি বৃদ্ধি কেন্দ্রের! ফের বঞ্চিত বাংলা, উঠছে বিধিভঙ্গে অভিযোগও

Date:

Share post:

লোকসভা নির্বাচনের (Lokshabha Election) আগে হাতে থাকা সব সংস্থা দিয়েই বিরোধীদের পরাজিত করতে চাইছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। বাদ যাচ্ছে না নির্বাচন কমিশনও! ভোটের মুখে MGNREGA-র দৈনিক মজুরি বাড়াল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবারই এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। সেখানেও রয়েছে বাংলার প্রতি বঞ্চনা। রাজ্য ভিত্তিক মজুরি বৃদ্ধি হয়েছে। আর যেখানে সর্বোচ্চ ৩৪ টাকা পর্যন্ত দৈনিক বৃদ্ধি করা হয়েছে, সেখানে বাংলার বৃদ্ধি মাত্রা ১৪ টাকা। কীভাবে ভোটের মুখে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।

এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে বাংলার প্রাপ্য ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখে কেন্দ্রের মোদি সরকার। কেন্দ্রের কাছে বারবার বিভিন্ন ভাবে দরবার করেও কাজ না হওয়ায়, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে রাজ্য সরকার সেই প্রাপ্য দিতে শুরু করেছে। এবার মজুরি বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও বঞ্চিত বাংলা। ১০০ দিনের কাজের মজুরি বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের দৈনিক মজুরি বাড়ানো হয়েছে ১৩ টাকা। আগে ২৩৭ টাকা করে মজুরি পেতেন কর্মীরা। সেটা বেড়ে হল ২৫০ টাকা। শতাংশের হিসাবে ৫.৫ শতাংশ। অথচ বিজেপি শাসিত রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের দৈনিক মজুরি বৃদ্ধির হার অনেক বেশি। সবথেকে বেশি দেওয়া হচ্ছে হরিয়ানাতে। সেখানে ৩৭৪ টাকা দৈনিক বৃদ্ধি হয়েছে। আবার শতাংশের হিসেবে মজুরি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে গোয়াতে। দৈনিক মজুরি বেড়েছে একলাফে ৩৪ টাকা। মোদি রাজ্য গুজরাটে মজুরি বৃদ্ধির হার প্রায় ১০ শতাংশ।

আরও পড়ুন: কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর মামলা খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে!

পাশাপাশি অভিযোগ, এই ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছে কেন্দ্র। বিরোধীদের প্রশ্ন, ভোট ঘোষণা হওয়ার পরে কীভাবে ১০০ দিনের কাজের মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা করে মোদি সরকার। যদিও কেন্দ্র সাফাই দিয়েছে, বাজেটেই এই বিষয়ে ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এটা শুধু বিজ্ঞপ্তি জারি হল। সেটাও নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই বৃদ্ধিকে তো প্রচারের হাতিয়ার করবে বিজেপি। শুধু তাই নয়, আগামী পয়লা এপ্রিল থেকেই এই বৃদ্ধি কার্যকর হবে। সুতরাং, স্বাভাবিক ভাবেই এটা ভোটারদের প্রভাবিত করার কৌশল বলে সরব হয়েছে বিরোধীরা।

একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে নির্বাচন কমিশনই (Election Commission) বা এই অনুমতি দিল কীভাবে! যদি কোনও বৃদ্ধি না হত, তাহলে রুটিন নোটিফিকেশন পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জারি হতে পারত। কিন্তু যখন মজুরি বৃদ্ধি হয়েছে, এবং সেটাও সমহারে হয়নি- তখন তার অনুমতি দেয় কী করে নির্বাচন কমিশন? কেন্দ্রীয় এজেন্সির মতো ইনির্বাচন কমিশনকেও কেন্দ্রে নিজেদের রাজনৈতিক অভিসন্ধির জন্য কাজে লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির।




spot_img

Related articles

এসআইআর আতঙ্কে তুফানগঞ্জে আতঙ্কে আত্মঘাতী গৃহবধূ! হাওড়ায় অসুস্থ বিএলও

এসআইআর সংক্রান্ত চাপে একই দিনে দুটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল রাজ্যে। কোচবিহারের তুফানগঞ্জে আতঙ্কে আত্মঘাতী হলেন এক গৃহবধূ, অন্যদিকে...

স্বাস্থ্যবন্ধু প্রকল্পে তিন সপ্তাহে পরিষেবা পেলেন এক লক্ষের বেশি মানুষ, শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় আরও এক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করল স্বাস্থ্যবন্ধু প্রকল্প। মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই এই প্রকল্পের শিবিরগুলিতে চিকিৎসা...

বাংলার পুলিশের ডিএসপি পদে যোগ রিচা ঘোষের: নাম লেখালেন দীপ্তির পাশে

নিয়োগ পত্র আগেই পেয়েছিলেন। বুধবার পুলিশের উর্দি পরে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন রিচা ঘোষ। না, এটা ক্রিকেটের জার্সিতে উইকেট...

আদালতের রায়ে বহাল ৩২ হাজার প্রাথমিক নিয়োগ, হাইকোর্ট চত্বরে অকাল হোলিতে মাতলেন শিক্ষকরা

দীর্ঘ দু’ বছর ধরে লড়াই, অনিশ্চয়তা আর সামাজিক উপহাস—সবকিছু কাটিয়ে অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা।...