লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) মুখে ফের বাড়তে চলেছে জরুরি ওষুধের (Emergency Medicine) দাম। আগামী ১ এপ্রিল থেকেই নয়া দাম কার্যকর হতে চলেছে খবর। তবে লাগাতার এভাবে দাম বাড়ায় বেজায় দুশ্চিন্তায় দেশবাসী। জাতীয় ওষুধ মূল্য নির্ধারণকারী সংস্থা ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (National Pharmaceutical Pricing Authority) সাফ জানিয়েছে অতি প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক, পেইনকিলার-সহ কমপক্ষে ৮০০টি ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে। তবে ক্রমাগত দামবৃদ্ধির পিছনে রয়েছে অন্য রহস্য। দিনকয়েক আগেই ফার্মা সংস্থাগুলি বিজেপির নির্বাচনী বন্ডে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা দিয়েছে বলে খবর। রাজনৈতিক মহলের দাবি, সেই বিপুল টাকা এবার দেশবাসীর থেকে অসুল করে নিতেই এমন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

এনপিপিএ একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সাফ জানিয়েছে, জরুরি ওষুধের তালিকায় থাকা প্যারাসিটামল, অ্যাজিথ্রোমাইসিন-সহ বেশ কিছু স্টেরয়েড, ভিটামিন, মিনারেল জাতীয় ওষুধের দাম ০.৫৫ শতাংশ বাড়ছে। গত বছরেই বহু ওষুধের দাম ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ২০২২ সালে দাম বেড়েছিল ১০ শতাংশ। তবে সংস্থার এক কর্তা জানিয়েছেন, চলতি বছর ওষুধের দাম তুলনামূলক কম বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে। তবে বাস্তবে সেটা যে একেবারেই হচ্ছে না তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। সাম্প্রতিককালে নিত্য প্রয়োজনীয় ব্লাড সুগার, প্রেশার, জ্বরের ওষুধের দাম একলাফে অন্তত ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, এটাই কেন্দ্রের মোদি সরকারের ‘আচ্ছে দিন’-এর আসল চেহারা। তবে ভোটের মুখে বিজেপির নির্বাচনী বন্ডে বিপুল টাকা দেওয়ার ফল যে দেশের মধ্যবিত্ত মানুষকে ভুগতেই হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
