‘একান্তভাবে’ দেখা করো! অধ্যাপকের কুপ্রস্তাবে পুলিশের দ্বারস্থ বিশ্বভারতীর ছাত্রীরা

বিশ্বভারতীর আরবি, পার্সিয়ান, উর্দু, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তিন ছাত্রী অভিযোগ করেন বিভাগের এক অতিথি অধ্যাপক প্রথমে তাঁদের পরীক্ষার ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখান

লাগাতার কুপ্রস্তাব। একের পর এক ছাত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রস্তাব। বিশ্বভারতীর অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী কমিটিতে অভিযোগ জানানোর পরও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ বিশ্বভারতীর ওই ছাত্রী।

বিশ্বভারতীর আরবি, পার্সিয়ান, উর্দু, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তিন ছাত্রী অভিযোগ করেন বিভাগের এক অতিথি অধ্যাপক প্রথমে তাঁদের পরীক্ষার ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখান। সেই সূত্রে কাছে ডেকে শরীরের বিভিন্ন অংশে খারাপভাবে হাত দেন। কিন্তু পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাঁদের মুখ বন্ধ রাখা হয়। এরপর শুরু হয় হোয়াটসঅ্যাপে পরীক্ষা পাশে নানা কৌশল জানিয়ে মানসিক চাপ তৈরি করা।

অভিযোগকারী ওই ছাত্রীর দাবি, অধ্যাপক কখনও হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে লেখেন পরীক্ষা পাশের তিন পদ্ধতি – সৎপথে, অর্ধসত্যপথে আর অসৎপথে। কিন্তু ছাত্রী কোনও প্রস্তাবে সায় না দিলে অন্য ছাত্রীকে টার্গেট করে অধ্যাপক। তাঁকে প্রলোভন দেখানো হয় এই ভাষায় – দুদিনের খারাপ লাগা তার ভবিষ্যৎ জীবন উজ্জ্বল করবে। এমনকি রাতে একসঙ্গে থাকার মতো প্রস্তাবও দেন ওই অভিযুক্ত অধ্যাপক। তবে এই নিয়ে অভিযোগ জানাতে বিশ্বভারতীর অন্তর্বর্তী তদন্ত কমিটির দ্বারস্থ হয়েও কোনও সদুত্তর পাননি ওই ছাত্রীরা। অবশেষে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের ছাত্রীর।

Previous articleগঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রোযাত্রায় নিষিদ্ধ হচ্ছে ভিডিও রেকর্ডিং! 
Next articleনির্বাচনী বন্ডে বিজেপিকে কোটি কোটি টাকা ফার্মা কোম্পানির! সোম থেকেই ‘মহার্ঘ্য’ ওষুধ