দলনেত্রীর বার্তা দিলেন ডেরেক-সাগরিকা, সংবিধান বাঁচানোর ডাক রাহুলের

বিরোধী ঐক্যমঞ্চে বিজেপিকে উৎখাতে ডাক দেন সাংসদ সাগরিকা ঘোষও। তিনি বলেন, "যে দল বিজেপিকে টক্কর দিতে পারবে তাকে ভোট দিন

দিল্লির রামলিলা ময়দানে নির্বাচনের আগে শক্তি প্রদর্শন ইন্ডিয়া (I.N.D.I.A.) জোটের। আর সেই মঞ্চেই তৃণমূলের প্রতিনিধি সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন (Derek O’Brien) স্পষ্ট করে দিলেন “অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে ছিল, আছে এবং থাকবে।” দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও হেমন্ত সোরেনের পাশেও তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছে তা স্পষ্ট করে দেন সাংসদ সাগরিকা ঘোষ (Sagarika Ghose)। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী রবিবার থেকেই প্রথম রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন বলে তিনি বিরোধী জোটের প্রতিবাদী মঞ্চে উপস্থিত থাকতে পারেননি।

যে কোনও নির্বাচনের আগে দেশাত্মবোধের জিগির তোলা বিজেপিকে এই মঞ্চ থেকে রবিবার সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন পুলওয়ামার (Pulwama) হামলা ও তার তদন্ত নিয়ে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করেন। প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল সিংয়ের বক্তব্য তুলে ধরে মঞ্চে ডেরেকের দাবি মোদি নিজে চান না পুলওয়ামার সত্য প্রকাশ্যে আসুক। এরপর পুলওয়ামার ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রকে শ্বেতপত্র প্রকাশের চ্যালেঞ্জ জানান তিনি। বিরোধী ঐক্যমঞ্চে বিজেপিকে উৎখাতে ডাক দেন সাংসদ সাগরিকা ঘোষও। তিনি বলেন, “যে দল বিজেপিকে টক্কর দিতে পারবে তাকে ভোট দিন”। উদাহরণে তিনি বিরোধী দল পরিচালিত বাংলা, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, কেরালা ও দিল্লির উদাহরণ টেনে বলেন, “কেজরিওয়াল আপনাদের কথা শুনতেন। মোদি সরকার কারো কথা শোনে না।”

অন্যদিকে ২০২৪ সাধারণ নির্বাচনের ‘সাধারণ’ তকমা মুছে দেওয়ার বার্তা দেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তাঁর দাবি, “এই নির্বাচন কোনও সাধারণ নির্বাচন না। হিন্দুস্তান ও সংবিধান বাঁচানোর নির্বাচন এটা, দরিদ্র মানুষের অধিকার বাঁচানোর নির্বাচন এটা।” সেই সঙ্গে বিজেপির পক্ষ থেকে কীভাবে এই নির্বাচনে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে তার উদাহরণ তুলে ধরা হয়। তিনি দাবি করেন, “নির্বাচন কমিশনে নিজেদের লোক বসিয়েছে বিজেপি। নির্বাচনের আগে দুই মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। কয়েকমাস আগে বা পরেও গ্রেফতার করতে পারত। কংগ্রেসের অ্যাকাউন্টে তালাও নির্বাচনের আগেই লাগানো হয়েছে। যাতে বিরোধীরা নির্বাচনে অংশই না নিতে পারে। বিচারব্যবস্থার উপর চাপ বাড়ানোর প্রক্রিয়া চালাচ্ছে বিজেপি।”

বিরোধী ঐক্যমঞ্চে দুই প্রতিবাদী মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী কল্পনা সোরেন (Kalpana Soren) ও সুনিতা কেজরিওয়ালকে (Sunita Kejriwal) সামনে রেখে কার্যত সংবিধান নিয়ে বিজেপির ক্ষমতার অপব্যবহারের বর্ণনা করা হয়। রাহুল গান্ধীর আরও দাবি, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে নিজের প্রতিশ্রুতি মতো ৪০০ আসন জিতে দেশের ক্ষমতায় এলে বিজেপি সংবিধান তুলে দেবে। দেশে আগুন লেগে যাবে। তাই হিন্দুস্তান ও সংবিধান রক্ষার করার নির্বাচন এই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন।

Previous articleভোটের মুখে ইমেজ বাঁচানোর চেষ্টা! বাসভবনে পৌঁছে আডবানির হাতে ‘ভারতরত্ন’ প্রদান রাষ্ট্রপতির
Next articleআইএস সেন্ট্রালের সতর্কবার্তা ঘিরে চাঞ্চল্য বিশ্ব জুড়ে