একসঙ্গে থাকতে গেলে মাঝেমধ্যে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকে। দাম্পত্য কলহ কখনও কখনও মধুর মিলনের পূর্বাভাস দেয়। কিন্তু উত্তেজনার বশে একে অন্যের প্রতি অশালীন শব্দ ব্যবহার কি আইনসম্মত? রেগে গেলেই কি যা খুশি তাই বলে একে অন্যকে আক্রমণ করতে পারেন বিবাহিত দম্পতিরা? মামলার প্রেক্ষিতে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুজতে চেয়েছিল পাটনা আদালত (Patna Highcourt)। অবশেষে সামনে এলো গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ। ঝগড়ার সময় স্ত্রীকে ‘ভূত’, ‘ডাইনি’ বলা নিষ্ঠুরতা নয়! জানিয়ে দিল আদালত।

সাংসারিক অশান্তি প্রত্যেক পরিবারে লেগেই থাকে। অনেক ক্ষেত্রে প্রাক্তনের মুখ থেকেও নানা কটু কথা শোনা যায়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অনেক সময়ই তুমুল কথা কাটাকাটির সময় একে অপরকে উদ্দেশ্য করে অনেক কটুক্তি বেরিয়ে যাওয়াও নিত্যদিন ঘটে। এই আচরণ কতটা সংসদীয়? ১৯৯৪ সালে জামাইয়ের বিরুদ্ধে পণের টাকার জন্য বারবার মেয়ের উপর মানসিক চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ করে পরিবার। শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থার অভিযোগেও জামাইয়ের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা হয়। তদন্তের পর পুলিশ চার্জশিট জমা দেয়। ট্রায়াল কোর্টের নির্দেশে এক বছরের কারাবাসের শাস্তি হয় জামাই বাবাজির। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত। আদালতে তাঁর শ্বশুর দাবি করেন, মেয়েকে নানাভাবে হেনস্থা করা হত। ‘ভূত’ ও ‘পিশাচ’ বলে গালাগাল করা হত। এরপর বিচারপত বলেন, এটা ঠিক নিষ্ঠুরতা নয়। আদালতে পর্যবেক্ষণ স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন গাড়ি চেয়েছিল, না পেয়ে অত্যাচার করেছিল, এমন কোনও প্রমাণও মেলেনি। তাই এই মামলায় পুনর্বিবেচনার আর্জিতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে নিঃসন্দেহে, পাটনা আদালতের পর্যবেক্ষণের কথা প্রকাশ্যে আসতেই চর্চায় এসেছে গোটা বিষয়টি।
