‘অবিবেচক’ কংগ্রেসকে কোনওভাবেই বিশ্বাস নয়! শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে ইন্দিরা গান্ধীকে আক্রমণ মোদির

লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আগে ফের কংগ্রেসকে (Congress) কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। মোদির স্পষ্ট অভিযোগ, ১৯৭৪ সালে ‘অবিবেচকের’ মতো তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী (Indira Gandhi) ভারতীয় ভুখণ্ড শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) হাতে তুলে দিয়েছিল। যার ফল আজও ভুগতে হচ্ছে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের। মোদির অভিযোগ, ভারতের অখণ্ডতার সঙ্গে আপোস করেছে হাত শিবির। আর যাই হোক, ওদের কোনওভাবেই বিশ্বাস করা যায় না। সম্প্রতি, তথ্য জানার আইনে একটি উত্তর সামনে এসেছে। যেখানে মোদি সরকার পরিষ্কার করে দিয়েছে, বর্তমানে যে কাটচাথিভু দ্বীপটি শ্রীলঙ্কার জলসীমায় আওতায় পড়ছে, সেই দ্বীপ একসময় তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) অংশ ছিল। কিন্তু ১৯৭৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত সরকার ওই দ্বীপটি শ্রীলঙ্কার হাতে ‘উপহার’ হিসাবে তুলে দেয়।

যদিও এই দ্বীপটিতে সেইসময় কেউ বসবাস করতেন না বলেই খবর, তবে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের জন্যও এই দ্বীপ ভীষণ জরুরি। রিপোর্ট সামনে আসার পরই প্রধানমন্ত্রী মোদির অভিযোগ, এটা চোখ খুলে দেওয়ার মতো বিস্ফোরক তথ্য। মোদির অভিযোগ, কংগ্রেস অবিবেচকের মতো কাটচাথিভু দ্বীপটি শ্রীলঙ্কার হাতে তুলে দিয়েছিল। যার খেসারত এখনো চোকাতে হচ্ছে ভারতকে। এটা সব ভারতবাসীকে রাগিয়ে দিয়েছে। এরপরই মোদি মনে করিয়ে দেন আর যাই হোক কংগ্রেসকে কনোভাবেই বিশ্বাস করা যায় না।

মোদির আরও অভিযোগ, দেশের ঐক্য এবং অখণ্ডতাকে দুর্বল করাই কংগ্রেসের নীতি। এভাবেই ওরা কাজ করে, আগামী দিনেও করবে। তবে লোকসভা নির্বাচনের মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কংগ্রেসের প্রতি এমন মনোভাবকে সোজা চোখে দেখছে না রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা ভোটের মুখে এমন তথ্য উস্কে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও একবার বুঝিয়ে দিতে চাইলেন জাতীয় সংহতির ব্যাপারে আর যাকে বিশ্বাস করা যাক না কেন কংগ্রেসকে কোনওভাবেই বিশ্বাস করা যায় না। পাশাপাশি তামিলনাড়ুর বহু মৎস্যজীবী যে কাটচাথিভু দ্বীপে গিয়েই শ্রীলঙ্কার নৌসেনার গুলিতে প্রাণ হারান, সেকথা তুলে ধরেও হাত শিবিরকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি মোদি।

Previous articleস্বামী স্ত্রীর ঝগড়ায় ‘কটু’ শব্দের ব্যবহার কি অন্যায়? বড় পর্যবেক্ষণ আদালতের
Next articleব্রিটিশের সঙ্গী ছিল রাজবাড়ি! ইতিহাস স্মরণ করিয়ে বিজেপিকে তোপ মমতার