কড়া ব্যবস্থা ফেডারেশনের, গ্রেফতার অভিযুক্ত এআইএফএফ কর্তা

এই নিয়ে গোয়া পুলিশের ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেট সন্দেশ চাদনোকর সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন,

শনিবার রাতে গ্রেফতার হন অভিযুক্ত এআইএফএফ কর্তা দীপক শর্মা। দুই মহিলা ফুটবলারকে হেনস্থা করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

এই নিয়ে গোয়া পুলিশের ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেট সন্দেশ চাদনোকর সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “এআইএফএফের কর্মসমিতির সদস্য দীপক শর্মাকে দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। তবে বিভিন্ন ধারায় মাপুসা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। মহিলাদের আঘাত করা, জোর খাটানো ইত্যাদি বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে ওঁর বিরুদ্ধে। রাতে উনি জেল হেফাজতেই থাকবেন। রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে।”

গোয়া ফুটবল সংস্থার সভাপতি সাইটানো ফার্নান্ডেজ জানিয়েছেন, পুলিশে অভিযোগ জানানোর ক্ষেত্রে তাঁর সংস্থা সাহায্য করেছে।

উল্লেখ্য, গতকাল অভিযোগ ওঠে এআইএফএফ কর্তার দীপক শর্মার বিরুদ্ধে। হিমাচল প্রদেশের দুই মহিলা ফুটবলার দীপক শর্মার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। উভয় খেলোয়াড়ের অভিযোগ যে দীপক শর্মা রুমে এসে তাদের মারধর করেন , শারীরিক নির্যাতন করেন। উভয় খেলোয়াড় বলেন, দীপক শর্মা তখন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। দুই খেলোয়াড়ই এই ঘটনার বিষয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কাছে অভিযোগ করেছেন। গোয়ায় চলা ইন্ডিয়ান উইমেনস লিগ-২-এ খাদ এফসি দলের হয়ে খেলছেন তাঁরা। খাদ এফসি হিমাচল প্রদেশের একটি দল। দীপক শর্মা বর্তমানে হিমাচল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক। তিনি AIFF-এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যও।

এই নিয়ে গতকাল কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর মুখ খোলেন। শনিবার তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে এবং আমাদের ফুটবলারদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রক এআইএফএফকে আরও কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি ফেডারেশন এই ব্যাপারে ঠিক কী করছে সে সম্পর্কে মন্ত্রককে জানানোর নির্দেশও দিয়েছে। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’

আরও পড়ুন- এপ্রিলের শেষেই বেছে নেওয়া হবে টি-২০ বিশ্বকাপের দল : সূত্র