বাংলায় বিজেপির দালাল সিপিএম-কংগ্রেস, একা লড়ছে তৃণমূল

বাংলায় বিজেপির দালাল সিপিএম আর কংগ্রেস (CPIM-Congress)। এদের একটিও ভোট নয়। ৪২টি আসনে একা লড়ছে তৃণমূল। ৪২ আসনেই প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জেতাতে আহ্বান জানাল তৃণমূল। বিজেপিকে (BJP) কটাক্ষ করে তৃণমূল বলে, এখনও চার কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। বিজেপির প্রার্থীর জন্যে নিখোঁজ পোস্টার লাগাতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার, সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও মুখপাত্র ঋজু দত্ত বলেন, এরাজ্যের কংগ্রেস-সিপিএম (CPIM-Congress) ভোট কাটুয়ার কাজ করছে। কংগ্রেস এবং সিপিএম হাত মিলিয়েছে বিজেপিকে অক্সিজেন দেবে বলে। এরা তৃণমূলকে (TMC) দুর্বল করতে চায়। বিজেপি বিরোধী ভোটারদের এরা কনফিউজড করে দিতে চায়। ২০২১ সালে বিজেপিকে হারানোর জন্য তৃণমূল যে মূল দায়িত্ব পালন করেছে, সেটা তাহলে অস্বীকার করত না। তৃণমূলের পিছনে ছুরি মারার চেষ্টা করত না। এ রাজ্যের সিপিএম এবং কংগ্রেস পুরোপুরি বিজেপির এজেন্ট। যখন ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে সর্বশক্তিকে পরাস্ত করার জন্য তৃণমূল লড়ছিল, তখন কংগ্রেস-সিপিএম জোট বেঁধে ভোট কেটে বিজেপিকে সুবিধে করে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। ভোট-কাটুয়াদের ভোট নয়।

এদিন কংগ্রেসের দু’মুখো অবস্থান নিয়ে তৃণমূল জানায়, যখন পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি এজেন্সিকে লেলিয়ে দেয়, তখন এজেন্সি খুব ভাল হয়ে যায়। কিন্তু দিল্লিতে যখন কংগ্রেসের পিছনে এজেন্সিকে লাগানো হয়, তখন এজেন্সি খারাপ। তাই আমরা কংগ্রেস এবং সিপিএমকে বাংলায় ধরছিই না। আসলেই পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস এবং সিপিএম বিজেপির শরিক দল। এদের একবিন্দু বিশ্বাস নয়। একটিও ভোট নয়। ভোট দেওয়ার অর্থ ভোট নষ্ট। বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি।

অপরদিকে বিজেপির প্রার্থী দিতে না পারা নিয়ে এদিন তৃণমূলের কটাক্ষ, বিজেপির প্রার্থী কই? হারানোর জন্য তো আমাদের কাউকে দরকার। বিজেপির প্রার্থীর খোঁজে নিখোঁজ পোস্টার লাগাতে হচ্ছে। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে কুণাল বলেন, ক্ষমতা থাকলে, হিম্মত থাকলে ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গদ্দার অধিকারী দাঁড়াক। বিজেপি প্রার্থী পাচ্ছে না, সকলেই পালিয়ে যাচ্ছে। একদিকে যেমন আদি বিজেপি এবং তৎকাল বিজেপির লড়াই চলছে, তেমনি অন্যদিকে দলবদলু বিজেপি ও আরএসএস-এর লড়াই চলছে। দিলীপ ঘোষকেও মানসিক অবসাদগ্রস্ত রোগী বলে কটাক্ষ করে তৃণমূল জানায়, লোকটা পাঁচ বছর ধরে চাষ করেছে মেদিনীপুরে, তাঁকে ধরে সুকান্ত-শুভেন্দুরা অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছে। তাই নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ দেওয়ার জন্য অকথা, কুকথা বলে তিনি শিরোনামে থাকার চেষ্টা করছেন। এগুলো আসলে পরাজয় আতঙ্কের আগাম বহিঃপ্রকাশ।