কেন্দ্রীয় নীতির জন্য একের পর এক জায়গায় কাজ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। দার্জিলিঙে ক্ষুদ্র কৃষকদের চাষে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মোদি সরকার। বেকার হয়ে পড়েছেন ১০লক্ষ চা-শ্রমিক। এই বিষয় নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার, জলপাইগুড়ির মার্সি ফেলোশিপ চার্চে যান মমতা। সেখানে জনসংযোগ করেন। সেই সময়ই জানান, দার্জিলিং থেকে অনীত থাপা (Anit Thapa) তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। জানান, কেন্দ্রীয় নীতির জন্য পাহাড়ে ১০ লক্ষ চা-শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। মমতা জানান, নির্বাচনী আচরণ বিধির জন্য এখন তিনি এবিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না। তবে, রাজ্য ভোটের (Vote) পরে উদ্যোগ নেবে।

ঘূর্ণিঝড়ে জলপাইগুড়ি-সব বিস্তৃর্ণ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত। প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। আহত শতাধিক। বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে রবিবার রাতেই সেখানে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই আছেন তিনি। এদিন সকালে মমতা যান জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মার্সি ফেলোশিপ চার্চে। সেখানে জনসংযোগ করেন। মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে ধামসা নিয়ে হাজির ছিলেন শিল্পীরা। স্বভাবসিদ্ধভঙ্গিতে শিল্পীর থেকে কাঠি নিয়ে বাজান তিনি। আদিবাসী মহিলাদের নৃত্যের তালে পা মেলান। এরপর নিজের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাংলায় সব জাতি-সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে বাস করেন। তিনি নিজে সব ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেনে এবছরও চাঁদরাতে কলকাতায় থাকবেন তিনি। পয়লা বৈশাখ যাবেন কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে। মমতার কথায়, ২৪ ডিসেম্বর মিড নাইট প্রেয়ার প্রায় ২০ বছর ধরে আমি যাই। পুজো, আদিবাসী অনুষ্ঠান, চা বাগানের অনুষ্ঠান সর্বত্র আমি যেতে পছন্দ করি।

এখানেই পাহাড়ের অর্থনীতি প্রসঙ্গে হোমস্টের কথা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রথম পাহাড়ে হোমস্টে চালুর বিষয়ে উদ্যোগ নেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সোমরাতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন জিটিএ প্রধান অনীত থাপা। জানান, কেন্দ্রীয় নীতির জন্য পাহাড়ে ১০ লক্ষ চা-শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। কারণ, কেন্দ্র জানিয়েছে তাঁরা বিধিসম্মত কীটনাশক ব্যবহার করছে না। ফলে তাঁদের থেকে চা কেনা হচ্ছে না। এর জেরে ১০ লক্ষ মানুষ বেকার হয়ে গিয়েছেন। মমতা (Mamata Banerjee) প্রশ্ন তোলেন, এতদিন থেকে হুঁশ হয়নি কেন্দ্রের। আগে বলেনি কেন! তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা করা যেতে। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, নির্বাচনী আচারণ বিধির জন্য এখন তিনি এবিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না। তবে, তিনি বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে কথা বলেছেন। ভোটের পরে বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগ নেবে রাজ্য সরকার। এই প্রসঙ্গ বাংলার পাটশিল্পের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, কেন্দ্রের নীতির কারণে সেই শিল্পের অবস্থা সঙ্গীন। তিনি এই বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন। পাট শিল্পে বাংলা প্রথম।

একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। ১০০দিনের কাজের টাকা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, জবকার্ড হোল্ডারদের ৫০দিনের কাজে বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সেটা আরও বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে।

