মুখ্যমন্ত্রী নারীদের নাড়ি বোঝেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ আজ অনন্য প্রকল্প: চন্দ্রিমা

বাংলায় শাসকদল তৃণমূলের সর্বাধিক চর্চিত প্রকল্পর মধ্যে একটি হল লক্ষীর ভাণ্ডার। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প হল ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’।

দিদি মানেই গ্যারান্টি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল মুখে যা বলেন, কাজেও তা করেন। একুশের বিধানসভা ভোট তৃণমূলের প্রতিশ্রুতি ছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। বাংলার মা – বোনদের সম্মান জানাতে ও তাঁদের স্বনির্ভর করতে এই প্রকল্প নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

বাংলায় শাসকদল তৃণমূলের সর্বাধিক চর্চিত প্রকল্পর মধ্যে একটি হল লক্ষীর ভাণ্ডার। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প হল ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। একদিকে বেড়েছে অনুদান, অন্যদিকে উত্তরোত্তর বাড়ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর সদস্যের সংখ্যা৷ বর্তমানে এই সংখ্যা ২ কোটি ১৫ লক্ষ।

এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে একটি ভিডিও প্রকাশ করে রাজ্যের দুই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও শশী পাঁজা বাংলার মহিলাদের মনের কথা শোনান লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নিয়ে।তাঁদের দাবি, মোদির গ্যারান্টি জিরো গ্যারান্টি, কিন্তু দিদি যা বলেন তা বাস্তবায়িত করেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। পাশাপাশি তাঁরা জানান, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গত বছর পঞ্চায়েত ভোটের আগে যখন রাজ্যজুড়ে নবজোয়ার যাত্রা করেছিলেন, তখন গ্রাম বাংলার মা বোনদের মনের কথা শুনে ছিলেন। এরপর অভিষেক মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়গুলি তুলে ধরেন। বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অনুদান প্রায় দ্বিগুণ করা হয়। এই দুর্মূল্যের বাজারে বর্ধিত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়ে লাখ লাখ মহিলা উপকৃত হচ্ছে। তাই মোদি নিজের মনের কথা বলেন, কিন্তু তৃণমূল জনতার মনের কথা বলে। আসলে দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী নারীদের নাড়ি বোঝেন। তাইলক্ষ্মীর ভাণ্ডার শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশে একটি অনন্য প্রকল্প।

মমতাময়ী মুখ্যমন্ত্রীর ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ সম্পর্কে সকলেই ওয়াকিবহাল৷ মুখ্যমন্ত্রীর ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর মতোই একই উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছে অন্যান্য রাজ্যেও৷ রাজ্যের মহিলাদের মন জয় করতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের তুলনা নেই। এই প্রকল্পের আওতায় প্ৰতি মাসে সাধারণ মহিলারা পাঁচশো টাকা করে এবং তপশিলি জাতি উপজাতির মহিলারা হাজার টাকা করে ভাতা পেতেন মহিলারা। এবার সেই অনুদান বাড়িয়ে ৫০০ পরিবর্তে হাজার ও হাজারের পরিবর্তে ১২০০ টাকা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার।

Previous articleকট্টর মোদি বিরোধী বিজেন্দ্র সিং কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে!
Next article“প্রয়োজনে আমি মনোনয়ন জমা দেব”, মহুয়াকে সাহস দিলেন ‘শেরনি’ মা