বাঁচার আশা নেই! কবে মারা যাবেন সেটাও ঠিক করছেন তরুণী!

নেদারল্যান্ডসে ২০০১ সাল থেকে স্বেচ্ছামৃত্যু বৈধ। তারপর থেকেই সেখানে বাড়ছে স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ বেছে নেওয়ার প্রবণতা

জীবনে হেরে যাওয়ার ভয় হোক বা মেনে না নিতে পারার কষ্ট – কত সহজে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারেন একজন মানুষ। কিন্তু ভারতে সেই পথ সহজ না, কারণ এখনও ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী আত্মহত্যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের ক্ষেত্রে তা নয়। শারীরিক বা মানসিক, অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে এখন সে দেশের তরুণ তরুণীরা এখন স্বেচ্ছামৃত্যুর পথই বেছে নিচ্ছেন।

আগামী মে মাসেই স্বেচ্ছামৃত্যুর মাধ্যমেই নিজের জীবন শেষ করতে চলেছেন ওই তরুণী জোয়ারা টার বিক।
ছোট থেকেই অটিজমে আক্রান্ত ওই তরুণী। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেড়েছে মানসিক চাপ ও অবসাদ। এক পোষ্য ও সঙ্গী থাকলেও তাঁর কষ্ট কমাতে পারেননি কেউই। চিকিৎসারও আর কোনও পথ খোলা নেই জেনেই এবার অবশেষে স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ বেছে নিলেন তিনি। যদিও, তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে আসার পরই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

নেদারল্যান্ডসে ২০০১ সাল থেকে স্বেচ্ছামৃত্যু বৈধ। তারপর থেকেই সেখানে বাড়ছে স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ বেছে নেওয়ার প্রবণতা। শারীরিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে এই পথ বেছে নিতে অনেকক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে। কিন্তু সেখানকার বিশেষজ্ঞ রিপোর্ট বলছে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এখন মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে স্বেচ্ছামৃত্যুর পথে বেছে নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। আর অনেক ক্ষেত্রেই এতে ডাক্তারদেরও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জোয়ারার স্বেচ্ছামৃত্যুর পুরো প্রক্রিয়াটিই হবে তার বাড়িতে। তাঁর চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানেই সম্পন্ন হবে পুরো কাজটি। সেই সময় ওই তরুণীর পাশেই থাকবেন তাঁর সঙ্গীও।

Previous articleচড়ছে পারদ: জল-বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে নির্দেশ নবান্নর, রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ
Next articleগুঞ্জনে ফুলস্টপ, প্রকাশ্যে তাপসীর বিয়ের প্রথম ভিডিও!