ঝাড়গ্রামের সাংগঠনিক বৈঠকে নিবীড় জনসংযোগের উপর জোর অভিষেকের

পাখির চোখ লোকসভা ভোট। দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে ও এককাট্টা হয়ে ময়দানে নামার বার্তা দিতে রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ ছুটে বেড়াচ্ছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ডায়মন্ড হারবার, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, বীরভূমের পর এবার ঝাড়গ্রামের দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করলেন অভিষেক। এই বৈঠকে নীবিড় জনসংযোগের উপর জোর দেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে যখন অভিষেক সেখানে পৌঁছন তখন তাঁকে দেখতে রাস্তার দুধারে ভিড় উপচে পড়ে।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রটি চলে যায় বিজেপির দখলে। ঝাড়গ্রামে এবার তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী কালীপদ সোরেন (Kalipada Soren)৷ ২৫মে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ। এদিন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠকে অভিষেক নির্দেশ দেন, শুধু নিজেদের সমর্থক নয়, যাঁরা বিরোধীদের ভোট দিয়েছিলেন তাঁদের গিয়েও বোঝান- রাজ্যে উন্নয়ন করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারে জনমুখী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন সবাই। উল্টে বাংলার হকের টাকা আটকে রাখছে কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকার।

ইতিমধ্যেই জোরকদমে প্রচার চলছে। এদিনের বৈঠকে নিবীড় জনসংযোগের উপর জোর দেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে বলেন। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, মানুষের অভিযোগ শুনতে হবে। তার সমাধানও করতে হবে। সমাধান যে সময়সাপেক্ষ ব্যাপার তাও মানুষকে পরিষ্কার করে বুঝিয়ে বলতে হবে। কেন্দ্রের এজেন্সিরাজের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা প্রচারের উপর জোর দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কথায়, মানুষকে জানাতে হবে, কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও দেশের একমাত্র রাজ্য সরকার যারা সর্বস্তরের নাগরিকের রসদ জুগিয়ে চলেছে৷ কেন্দ্র এখান থেকে টাকা নিয়ে যাচ্ছে আর গরিব মানুষের হকের টাকা দিচ্ছে না। এই কথাগুলিও মানুষকে বোঝাতে হবে।

অভিষেকে স্পষ্ট বার্তা, বুথ প্রতি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট টার্গেট করতে হবে। সেই সঙ্গে দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে। দলের মধ্যে মতানৈক্য রাখা চলবে না। বাংলা-বিরোধীদের বিসর্জনের সম্পূর্ণ আয়োজন করতে হবে। এদিনের বৈঠকে ছিলেন প্রার্থী কালীপদ সোরেন, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাত, দেবনাথ হাঁসদা, দুলাল মুর্মু, খগেন্দ্রনাথ মাহাত, রাজীবলোচন সরেন প্রমুখ।




Previous articleলোকসভা ভোটে আইন শৃঙ্খলা নিয়ে নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক
Next articleসৌম্য রায়ের পরিবর্তে নয়া DC South-West রাহুল দে