“ছেলে দলকে ভালোবেসেছে, দল প্রতিদান দেয়নি”! ভোটের মুখে অভিমানী দিলীপ ঘোষের মা

রাজ্য বিজেপির যেটুকু উত্থান, তার পিছনে দিলীপ ঘোষের অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না। দিলিপ ঘোষ জেলায় জেলায় সংগঠন বৃদ্ধি করেছেন। তিনি রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ২ থেকে ১৮ হয়েছিল। তাঁর হাত ধরেই গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় ৩ থেকে ৭৭- এ পৌঁছে ছিল। তিনি নিজেও কোনওদিন ভোটে হারেননি। কিন্তু বিপক্ষের তাবড় নেতাদের হারিয়েছেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে দল তাঁকে তাঁর গুরুত্ব দিচ্ছে না। নূন্যতম সম্মানটুকুও দিচ্ছে না।

পরিবর্তন করা হয়েছে দিলীপ ঘোষের কেন্দ্র। মুখে না বললেও রাজ্য নেতৃত্বের মনোভাব, এবার দিলীপ ঘোষকে টিকিট না দিলেই যেন ভালো হতো। অবশেষে টিকিট পেলেও দলীয় নেতৃত্বকে সেভাবে পাশে দেখা যাচ্ছে না। ফলে লড়াইটা তাঁর একার। সফলতায় তিনি প্রমাণিত। তবুও নতুন করে প্রমাণের তাগিদ রয়েছে। দলে কোণঠাসা দিলীপ ঘোষ। লোকসভা ভোটের লড়াইয়ের আগে ছেলের পাশে দাঁড়ালেন মা। দিলীপের অভিমানী মা বললেন, “ছেলে দলের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছে। কিন্তু দল ছেলেকে ভালোবাসেনি।” গ্রামের বাড়িতে বসে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষের মা পুষ্পলতা ঘোষ। তাঁর এমন মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়েছে।দল পাশে থাকুক বা না থাকুক, ছেলের জয়ের ব্যাপারে প্রত্যয়ী মা। পুষ্পলতাদেবীর কথায়, “যেখান থেকেই লড়াই হোক, ছেলে জিতবেই।” আত্মবিশ্বাসী মায়ের মন্তব্য নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “দল যেটা ভালো ঝুঝেছে, সেটাই করেছে। ওসব নিয়ে ভাবি না। মায়ের আশীর্বাদ আমার সঙ্গে আছে।”

এবার দিলীপ ঘোষকে মেদিনীপুরে প্রার্থী না করে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাঁর মা পুষ্পলতাদেবী বলেন, “মন তো কিছুটা খারাপ রয়েইছে।” ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকের কুলিয়ানা গ্রামের বাসিন্দা দাপুটে ও জনপ্রিয় এই বিজেপি নেতা। গতবার মেদিনীপুরের প্রার্থী থাকাকালীন মাঝে মধ্যেই বাড়িতে আসতেন। এবার বর্ধমান দুর্গাপুর হওয়ায় তাঁকে সেখানেই মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হচ্ছে। মা বলছেন, “এবার ভোটের সময় ছেলেটা বাড়িতে আসতে পারবে না। কিছু না বললেও ছোট মাছ রান্না করে রাখতাম। খুব ভালোবাসে খেতে।”

Previous articleফের ভূমিকম্প! সাতসকালে কেঁপে উঠলো লাল ফৌজের দেশ
Next articleরাজবংশীদের ভাঁওতা দিয়েছে বিজেপি! মোদির সভার আগে বিস্ফোরক কোচবিহারের অনন্ত মহারাজ