আজ, বৃহস্পতিবার ফের একবার ভোট প্রচারে বঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের সমর্থনে আজ তাঁর জনসভা কোচবিহারে। এই জেলার বা কেন্দ্রের বড় ফ্যাক্টর, ভোটার তালিকার ৩২ শতাংশই রাজবংশী সম্প্রদায়ের। গেরুয়া শিবিরের প্রতিশ্রুতি, আর বাস্তবায়নের ফারাক তাঁরা বুঝতে শুরু করেছেন বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। আর তাই গ্রেটার আন্দোলনের অন্যতম মুখ তথা বিজেপির-ই রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজের গলায় অন্য সুর।
নিশীথকে ফের সংসদে পাঠাতে মোদি দরবার করবেন ‘ভোট নিয়ন্ত্রক’ রাজবংশী মানুষের কাছে। ঠিক তার আগে রাজবংশ সম্প্রদায়ের অন্যতম মুখ রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ কার্যত ‘বিস্ফোরণ’ ঘটনালেন। তাঁর দাবি, রাজবংশীদের দেওয়া কোনও প্রতিশ্রুতিই পালন করেনি বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার। পৃথক রাজ্য থেকে নারায়ণী ব্যাটালিয়ন কিছুই হয়নি। কিন্তু কেন বিজেপি প্রতিশ্রুতি পূরণ করে না, তা তাঁর জানা নেই। তাঁর কথায়, এটাই বাস্তব। সবটাই মানুষ জানেন।
উত্তরবঙ্গের রাজবংশী ভোট বড় ফ্যাক্টর। কার্যত রাজবংশী ভোটের জেরেই তৃণমূল কংগ্রেস গত লোকসভায় খালি হাতেই ফিরেছিল উত্তরবঙ্গ থেকে। এই আবর্তে রাজবংশী ভোট আরও বেশি করে নিজেদের দিকে টানতে অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল গেরুয়া শিবির। এই পর্বেই কখনও উত্তরবঙ্গের জন্য পৃথক রাজ্য, আবার কখনও কেন্দ্রশাসিত এলাকা গঠন সময়ের অপেক্ষা বলে প্রচার চালিয়েছিলেন অনন্ত মহারাজও। কিন্তু লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত এলাকা কিছুই সম্ভব নয় বলে অনন্তকে সাফ জানিয়ে দেয় অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তারপর থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেন রাজবংশীদের ‘স্বঘোষিত মহারাজ’।
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী জগদীশ বসুনিয়া বলেন, দেরিতে হলেও জুমলাটা বুঝতে পেরেছেন অনন্ত মহারাজ। রাজবংশীদের ভোট টানার জন্য যে ভাঁওতা দিয়েছিল বিজেপি, সেটা প্রকাশ্যে এসেছে। তাঁর কথায়, বরং উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ করেছেন। রাজবংশী ভাষা আকাদেমি তৈরি করেছেন। প্রাথমিক স্তরের স্কুলগুলিতে মাতৃভাষায় পঠনপাঠনের স্বীকৃতি মিলেছে। রাজ্য পুলিসে নারায়ণী ব্যাটালিয়ন হয়েছে। মোদির গ্যারান্টির যে কোনও ‘সারবত্তা’ নেই, অনন্ত মহারাজের কথায় তা ফের প্রমাণ হল।
Anant Maharaj – mp – bjp – rajbongshi – pm – modi – rally – coachbiha