বঙ্গ বিজেপিতে আস্থা নেই, ড্যামেজ কন্ট্রোলে বাংলায় আসছেন মোদি!

আপদে বিপদে জনগণের পাশে পদ্মনেতাদের টিকিও খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে ভোট আসতে না আসতেই বেড়েছে প্রচারের রমরমা।

রাজ্যে আসছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বাংলার বিজেপি নেতাদের ব্যর্থতা ঢাকতেই দিল্লি থেকে উড়ে আসতে হচ্ছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে! পশ্চিমবঙ্গে পায়ের তলায় জমি হারিয়ে কার্যত ধুঁকছে বিজেপি (BJP)। দলবদলু নেতাদের ভাল চোখে দেখছেন না সাধারণ মানুষ। আপদে বিপদে জনগণের পাশে পদ্মনেতাদের টিকিও খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে ভোট আসতে না আসতেই বেড়েছে প্রচারের রমরমা। কিন্তু মানুষ বিশ্বাস করছেন না বিজেপি নেতাদের প্রতিশ্রুতিকে। তাই বাধ্য হয়েই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে দিল্লি থেকে পরিযায়ী নেতাদের আগমন। আজ উত্তরবঙ্গে আসছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দুপুরেই সভা করবেন কোচবিহারে।

একুশের নির্বাচনে বাংলার প্রচারে এসে ২০০ পার করার কথা বলেছিল বিজেপি সরকার (BJP Government)। কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল তিন অংক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন তাঁরা। সেইবারেও ‘ডেলি প্যাসেঞ্জারি’ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি – অমিত শাহরা। বাংলায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কুরুচিকর আক্রমণ করেছিলেন। প্রতিবাদে বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছিল মা মাটি মানুষ। লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) দিন ঘোষণা হতেই এর দিল্লি নেতাদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহল বলছে বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বিধায়করা যে তাঁদের কাজ করতে ব্যর্থ সেটা বুঝতে পেরেছি গেরুয়া সরকার। তাই দিল্লির শীর্ষ নেতার মুখে ভরসা রেখে ভোট বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টায় ভারতীয় জনতা পার্টি। এবার বিজেপির দিল্লির নেতৃত্বও একগুচ্ছ কর্মসূচি রাখছে বাংলায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বাংলায় অন্তত ১৫টি সভা করার কথা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বাংলায় প্রায় ১৪-১৫টি সভা করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিজেপি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। আজ বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ কোচবিহারের রাসলীলা ময়দানে সভা করবেন নরেন্দ্র মোদি। রাজনৈতিক মহল বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন স্ট্রাটেজিক মিটিং করবেন কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে, বেছে বেছে সেই দিনেই মোদির আগমন প্রমাণ করে দিচ্ছে বিজেপি নেতাদের পায়ের তলায় মাটি নেই । জলপাইগুড়িতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে রাতেই অসহায় মানুষের পাশে ছুটে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে কাছে পেয়ে আপ্লুত সেখানকার মানুষ। তৃণমূল সুপ্রিমোর জনপ্রিয়তায় গলা শুকিয়ে গেছে পদ্ম নেতাদের। তাই আপাতত মোদি মুখেই ভরসা করা ছাড়া বিজেপির আর কোনও গতি নেই।

Previous articleরাজবংশীদের ভাঁওতা দিয়েছে বিজেপি! মোদির সভার আগে বিস্ফোরক কোচবিহারের অনন্ত মহারাজ
Next articleরাজ্যে কোথায় কোথায় ভোট পরবর্তী হিংসা, আজই রিপোর্ট তলব কমিশনের!