অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেও সরকারি কাজে ‘না’! কেজরিওয়াল মামলায় ‘বিতর্কের’ আশঙ্কা সুপ্রিম কোর্টের

আবগারি মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে (Enforcement Directorate)। মঙ্গলবার কেজরিওয়ালের (Aravind Kejriwal) আবেদন মামলায় এবার ইডির সামনে বড়সড় প্রশ্ন তুলল দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ সাফ জানায় আম আদমি পার্টির সুপ্রিমোর দায়ের করা মামলা আর পাঁচটা সাধারণ মামলার মতো নয়। এরপরই ইডির উদ্দেশে বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয় কেজরিওয়াল একজন মুখ্যমন্ত্রী। কাউকে জীবনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না। অন্যদিকে এদিন জামিন (Bail) প্রসঙ্গে বিচারপতি খান্নার বেঞ্চ জানায়, যদি কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তিকালীন জামিন (Interim Bail) দেওয়া হয়, তবে আদালত চায় না তিনি সরকারি কোনও কাজে যুক্ত থাকুন। না হলে বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে। তবে নির্বাচন না হলে এই জামিনের বিষয় বিবেচনা করা হত না।

মঙ্গলবার শুনানির সময় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিনের প্রসঙ্গ ওঠে। এদিন কেজরিওয়ালের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি শীর্ষ আদালতের বেঞ্চকে সাফ জানান, লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়া অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। এরপরই বিচারপতি খান্নার বেঞ্চ জানান, তাঁরা আপ প্রধানের অন্তর্বর্তিকালীন জামিনের আবেদন শুনবে। এরপরই বেঞ্চ কারণ হিসাবে জানিয়ে দেয় কেজরিওয়াল একজন জনপ্রতিনিধি। তিনি নির্বাচনে জিতেছেন, আর সেকারণে নির্বাচনে প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে তাঁর। তবে এদিন কেজরিওয়ালের জামিনের বিরোধিতা করে ইডি আদালতে জানায়, ফৌজিদারি মামলায় ধৃত সকলের অধিকার সমান। কিন্তু কেজরিওয়ালকে জামিন দিলে তা জনমানসে ভুল বার্তা যাবে। পালটা সুপ্রিম কোর্ট বলে, এখন দেশে সাধারণ নির্বাচন হচ্ছে, আমরা কখনোই তা উপেক্ষা করতে পারি না। তবে এদিন কেজরিওয়ালের আইনজীবী আদালতে জানান, লেফটেন্যান্ট গর্ভনর না বললে কোনও সরকারি কাজ করবেন না তাঁর মক্কেল।

 

উল্লেখ্য, গত শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ জানিয়েছিল, লোকসভা ভোটের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তীকালিন জামিন দেওয়ার বিষয়টা বিবেচনা করা যেতে পারে। পাশাপাশি আদালত আরও জানায় গ্রেফতারির বিরুদ্ধে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনের শুনানির জন্য অনেকটা সময় লাগতে পারে। আর সেকারণেই সুপ্রিম কোর্ট জানায়, কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তিকালীন জামিনের কথা ভাবা যেতে পারে। আর তারপর থেকেই আপ সুপ্রিমোর জামিন নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। গত ২১ মার্চ দিল্লির আবগারি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তারপর থেকেই তিনি জেলবন্দি। যদিও তাঁর গ্রেফতারিকে বেআইনি বলে দাবি করে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো।

Previous articleঝাড়খণ্ডে টাকা উদ্ধারে কংগ্রেসকে নিশানা, গ্রেফতার মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক
Next articleভোটদানের নিরিখে জোর টক্কর বাংলা বনাম গোয়ার, তথ্য প্রকাশে দেরি কমিশনের