সন্দেশখালি, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম এক নয়, হাথরসে কতবার গিয়েছেন? মোদিকে তীব্র আক্রমণ মমতার

সন্দেশখালি প্রসঙ্গ তুলে হাওয়া গরম করার চেষ্টা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তার পাল্টা তুফানগঞ্জের সভা থেকে ধুয়ে দিলেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলায় প্রচারে এসে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ তুলে হাওয়া গরম করার চেষ্টা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তার পাল্টা তুফানগঞ্জের সভা থেকে ধুয়ে দিলেন তৃণমূল (TMC) সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রশ্ন তুললেন, সন্দেশখালির মা-বোনেদের জন্য এত কষ্ট, হাথরসে কতবার গিয়েছেন মোদিবাবু!

সন্দেশখালি ইস্যুতে জিইয়ে রাখতে চেয়েছিল বিজেপি (BJP)। কিন্তু প্রশাসনের তৎপরতায় দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তাও মাঝে মধ্যেই উস্কানি দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। বৃহস্পতিবার, বাংলায় প্রচারে এসে ফের সন্দেশখালির মহিলাদের জন্য কাঁদুনি গেয়েছেন মোদি। শুক্রবার, আলিপুরদুয়ারের প্রার্থী প্রকাশচিক বরাইকের সমর্থনে প্রচার সভা থেকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল সভানেত্রী। তিনি ফের জানিয়ে দেন, ” মোদি সন্দেশখালি আর দুর্নীতি নিয়ে লড়াইয়ের কথা বলেছেন। জেনে রাখুন সন্দেশখালি সিঙ্গুরও নয়, নন্দীগ্রামও নয়। কিছু স্থানীয় সমস্যা থেকে হয়েছিল। আমাদের পুলিশই তো ওদের গ্রেফতার করেছে। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা অবিচার করিনি।”

এর পরেই তীব্র নিশানা করে মমতা বলেন, কিন্তু হাথরসে কী হয়েছিল? বিলকিসের কী হয়েছে? “তুমি কতবার হাথরসে গেছো, তোমার নেতারা কতবার গেছে? সন্দেশখালিতে তো কেউ মারা যায়নি। আর হাথরসে, মণিপুরে কী হয়েছিল। কেন তাঁরা বিচার পেলেন না?” এই প্রসঙ্গে সাক্ষী মালিকদের হেনস্থার প্রসঙ্গও তোলেন মমতা। জানিয়ে দেন বাংলায় নারীরা সুরক্ষিত। সন্দেশখালিতে জমি নিয়ে সমস্যা ছিল। সেই অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে। জমি ফিরয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যে নারীদের পরিস্থিতির দিকে নজর দিন তাঁদের নেতারা।

Previous articleএকনজরে আজকের পেট্রোল-ডিজেলের দাম 
Next articleযাদবপুরে সিপিএম-আইএসএফ কোনও ফ্যাক্টর নয়, প্রচারে দাবি সায়নীর