লোকসভা ভোটে বরাবরই আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে যাদবপুর আসনটি। এবারও হেভিওয়েট যাদবপুর নজরকাড়া কেন্দ্র। খাতায়-কলমে এই কেন্দ্রে এবার চতুর্মুখী লড়াই। তৃণমূল, বিজেপি, বামেদের পাশাপাশি প্রার্থী দিয়েছে আইএসএফ। একটা সময় এই যাদবপুর ছিল বাম দুর্গ। কিন্তু ২০০৯ সাল থেকে এই কেন্দ্রে জিতে আসছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। তবে মনে করা হয়, এখনও যাদবপুরের কিছু কিছু পকেটে বামেদের ভোট আছে। বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গাঙ্গুলিকে অবহেলা করলে চলবে না, গতবার এই কেন্দ্রে বিজেপি জিততে না পারলেও ভালো ভোট টেনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল।

যদিও দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর শেষ পর্যন্ত যাদবপুরে আইএসএফ প্রার্থী দেওয়ায় লড়াই আরও জমজমাট। যাদবপুরে আইএসএফের টিকিটে লড়বেন নূর আলম খান। মনে রাখা দরকার, এই কেন্দ্রের অন্তর্গত ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রটি আইএসএফের দখলে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে প্রবল তৃণমূল ঝড়ের মধ্যেও নতুন দল গঠন করে আইএসএফের প্রতীকে জিতে ছিলেন নওশাদ সিদ্দিকি। ওই এলাকায় খুব জনপ্রিয় নওশাদ। সেখানে তাদের সংগঠনও বেশ মজবুত। এছাড়াও বারুইপুর পূর্ব ও সোনারপুর উত্তরে আইএসএফের সংগঠন আছে। তবে বামেদের সঙ্গে আইএসএফের জোট না হওয়ায় ফায়দা তুলবে তৃণমূল, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেক্ষেত্রে যাদবপুরে সিপিএমের টিকিটে লড়া সৃজন ভট্টাচার্য একটু চাপেই থাকবেন। ফলে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সায়নী ঘোষের জয় আরও মসৃণ হতে পারে। আবার বিজেপি যদি গতবারের ভোটটা ধরে রাখতে পারে, তাহলে লড়াই আরও জমে যাবে। কারণ, বছরের পর বছর ভাঙড় থেকে যে বিপুল লিড তৃণমূল পেয়ে আসছে, এবার সেটা নাও হতে পারে।

সেই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শুক্রবার বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা এলাকায় প্রচারে বেরিয়ে বাম এবং আইএসএফ-কে খোঁচা দিলেন যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষ। তাঁর দাবি, এই দুই দলের কারওরই একে ওপরের উপর আস্থা নেই। মানুষেরও এদের উপর আস্থা নেই বলে মন্তব্য সায়নীর।

তৃণমূল প্রার্থী আরও বলেন, মানুষ তৃণমূলের উপর বিশ্বাস রাখে, প্রত্যাশা করে। তাই ভরসা করে তৃণমূলের কাছে তাদের দাবি জানাচ্ছে। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম কেউই বাংলার মানুষের জন্য কাজ করবে না। মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই করবে বলে তাঁর দাবি।
