সন্দেশখালির শাহজাহানের সঙ্গে নবাব সিরাজদৌল্লার তুলনা! বিতর্কে কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী

কৃষ্ণনগর আসনে এবার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের পরিবারের বর্তমান রানিমা অমৃতা রায়কে (Amrita Roy) প্রার্থী করেছে বিজেপি (BJP)। তিনি প্রার্থী হওয়ার পর থেকে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন। ভোট মেরুকরণ করতে গিয়ে বিভাজনের খেলায় মেতেছেন রাজমাতা অমৃতা। এদিকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র থেকে সিরাজদ্দৌলা কিংবা গোপাল ভাঁড়ের মতো ঐতিহাসিক চরিত্রগুলি ফের প্রাসঙ্গিক হয়েছে কৃষ্ণনগরের লোকসভা ভোটের বাজারে।

তারই মাঝে সন্দেশখালির শাহজাহানের সঙ্গে নবাব সিরাজদৌল্লার তুলনা টেনে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করলেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী রাজমাতা অমৃতা রায়। বর্তমানে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে বন্দি শেখ শাহজাহান ও তার দলবলের বিরুদ্ধে মহিলা নির্যাতনের অভিযোগ আছে। আর সেই শাহজাহানকেই বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদৌল্লার সঙ্গে একাসনে বসালেন বিজেপি প্রার্থী অমৃতা।

বাংলার ইতিহাসে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে অনেকেই ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে থাকেন। কারণ, নবাব সিরাজদৌল্লাকে পরাজিত করতে তিনি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং মির জাফরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছিলেন। ১৭৫৭ সালের পলাশির যুদ্ধে সিরাজদৌল্লার পরাজয়ের সঙ্গেই ভারতে ব্রিটিশ রাজশক্তি মাথা চাড়া দেয়। ফলস্বরূপ ২০০ বছরের পরাধীনতার অভিশাপ।

এ প্রসঙ্গে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কৃষ্ণচন্দ্র পরিবারের বধূ তথা বিজেপি প্রার্থী
বলেন, মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের আমলে দেশ বা জাতি বলতে কোনও ধারণা ছিল না। তাঁর সংকল্প এবং সনাতন ধর্মকে রক্ষা করাকেই তিনি প্রাথমিক কাজ বলে মনে করেছিলেন। ঔপনিবেশিক শক্তির সঙ্গে হাত মেলানো তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না। মুঘলদের মতোই সিরাজদৌল্লা ছিলেন বহিরাগত। আমি পড়েছি, তিনি তো বাংলাই বলতে পারতেন না। উনি প্রবল অধার্মিক ও বিকৃতকাম প্রকৃতির ছিলেন। ফলে সিরাজদৌল্লা কিংবা আজকের শাহজাহানকে কেউই মেনে নিতে পারেননি। আজ মহিলারা এই অসম্মানের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন।

খুব স্বাভাবিভাবেই প্রশ্নকর্তা তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে আপনি কি সিরাজদৌল্লা ও শাহজাহানকে এক বলে মনে করেন? উত্তরে কৃষ্ণনগরের রনিমা বলেন, “নিশ্চয়, দুজনেই একেবারে সমান।”

 

Previous articleতন্ত্রসাধনার জন্যই কী মরতে হল দুর্গাকে? ওয়াটগঞ্জকাণ্ডে নয়া মোড়
Next articleঅভিষেকের চ্যালেঞ্জের ৬০০ ঘণ্টা পেরিয়েছে! ‘শ্বেতপত্র’ ইস্যুতে মোদি-সফরকে নিশানা তৃণমূলের