অভিষেকের চ্যালেঞ্জের ৬০০ ঘণ্টা পেরিয়েছে! ‘শ্বেতপত্র’ ইস্যুতে মোদি-সফরকে নিশানা তৃণমূলের

আর যাই করুন না কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মিথ্যা, ভাঁওতা, জুমলাবাজির ফাঁদে কোনওমতেই পা দেবেন না। শনিবার তৃণমূল ভবন (TMC Bhawan) থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে সরাসরি কেন্দ্রের মোদি সরকার (Modi Govt) ও ভোটের আগে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করতে বাংলায় আসা নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ‘গাজোয়ারি’ নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুললেন শিক্ষামন্ত্রী। এদিন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) সাফ জানান, ভোটের আগে বাংলার মানুষকে জোর করে ভুল বোঝাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্যে বঙ্গ বিজেপি নেতা কর্মীদের কথাতেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাংলায় তিনি প্রচার করতে আসছেন নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে একের পর এক মিথ্যা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। আর প্রধানমন্ত্রীকে যখন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শ্বেতপত্র প্রকাশের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত ৬০০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কোনও তথ্যপ্রমাণ সামনে আনতে পারেননি মোদি।

তবে ব্রাত্য এদিন সাফ জানান, ভূপতিনগরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে অপব্যবহারের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে তৃণমূল। ব্রাত্য জানান, শনিবারই তৃণমূলের ১০ সাংসদ নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন। আশা রাখি নির্বাচন কমিশন দ্রুত সদর্থক পদক্ষেপ নেবেন এবং আমাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন। শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে ইতিমধ্যে আবাস যোজনায় ৫ হাজার বাড়ি তৈরির আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু এর কোনও উত্তর এখনও আমাদের কাছে এসে পৌঁছয় নি কেন তা আমরা জানিনা। পাশাপাশি ভোটের মুখে গাজোয়ারি করে বাংলায় এনআইএ দল পাঠানোর তীব্র নিন্দা করে ব্রাত্য বলেন, আমি রাজ্যের সমস্ত ছোট এবং বড় আতসবাজি ব্যবসায়ীদের সাবধানে থাকতে অনুরোধ করব। এখন যা হাল একটা চকোলেট বোম পাঠালেও এনআইএ চলে আসতে পারে।

তবে এদিন শুধু ব্রাত্য বসুই নন, এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধুয়ে দেন। তিনি বেলন, কোচবিহারে প্রধানমন্ত্রী সভা করতে গেলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো তো দূর তাঁদের জন্য একটি শব্দও খরচ করেননি প্রধানমন্ত্রী। ঋতব্রত আরও মনে করিয়ে দেন, লাগাতার বাংলার প্রতি অবিচার করছে কেন্দ্র। বাংলার প্রাপ্য টাকা আটকে মোদি সরকার বাংলার মানুষকে ভাতে মারতে চাইছে। তবে বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মোদির সেই স্বপ্ন ধরাশায়ী থেকেই যাবে। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গবাসীদের উন্নতিকল্পে ঠিক কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন তা মনে করিয়ে দেন ঋতব্রত। পাশাপাশিও এদিন বন্ধ চা বাগান খোলা থেকে শুরু করে চা শিল্পের উন্নতিকল্পে মুখ্যমন্ত্রীর অবদানের কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। তবে ঋতব্রত সাফ জানান, আর যাই হোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদানের কারণেই প্রধানমন্ত্রী মোদিকে উৎখাত করবে উত্তরবঙ্গ-সহ রাজ্যবাসী।

Previous articleসন্দেশখালির শাহজাহানের সঙ্গে নবাব সিরাজদৌল্লার তুলনা! বিতর্কে কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী
Next articleঘরে-ঘরে রাজ্যের উন্নয়ন, কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা প্রচার করুন: পঞ্চায়েত প্রধানদের বৈঠকে নির্দেশ অভিষেকের