মতুয়াদের ঠকিয়ে চলেছেন! বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ, বাংলায় কেউ উদ্বাস্তু থাকবেন না: আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

নদিয়ায় দাঁড়িয়ে মতুয়াদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একই সঙ্গে মতুয়াদের ভুল বোঝানোর জন্য তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো। আগামী দিনে সকলে জমির দলিল পাবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।

সভা থেকে NRC-CAA নিয়ে মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, “আমার প্রতি বিশ্বাস রয়েছে? তা হলে আপনাদের কেউ তাড়াতে পারবে না। অসমে যা হয়েছে, বাংলায় হবে না। তাই আমার উপর রাগ দেখায়। টাকা বন্ধ করে। আমার কিছু যায় আসে না। আমরা সকলে নাগরিক। কেউ পড়াশোনা করেন। চাষের জমি রয়েছে। ভোট দেন সকলে। ভোটের সময় তো কেউ বলেনি। এখন বলছে দরখাস্ত করো।“

এর পরেই মতুয়া উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো বলেন, “আমি বড়মার কাছে বার বার গিয়েছি। মতুয়াদের ঠাকুরবাড়ির উন্নয়ন করলাম। হরিচাঁদ ঠাকুরের নামে বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যাম্প করে দিয়েছি। বড়মাকে বঙ্গ বিভূষণ দিয়েছিলাম। হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিনে ছুটি দিয়েছি। নমঃশূদ্র বিকাশ পরিষদ করেছি। গাইঘাটা-ঠাকুরনগর পর্যন্ত রাস্তা করেছি। গাইঘাটায় সরকারি কলেজ করেছি। ফুলচাষিদের জন্য ফুলবাজার করেছি। গাইঘাটায় আইটিআই, পথসাথী-সহ অনেক কিছু করেছি।“ মতুয়া সমাজের বড়মা বীণাপানিদেবীর কাছে আগে কেই যেতেন না। একমাত্র তিনিই জেতেন বলে উল্লেখ করে মমতা বলেন, “বড়মা মারা গিয়েছেন ক’বছর আগে। যখন অসুস্থ হতেন, ছাত্র-যুব রাজনীতির সময় থেকে আমি নিয়ে যেতাম হাসপাতালে। বালু গিয়ে বলত, দিদি বড়মা অসুস্থ। আমি বলতাম বেলভিউতে ভর্তি কর। কেউ খোঁজ রাখত না।“

এরপরেই নাগরিকত্ব নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেন মমতা। বলেন, “মতুয়াদের ঠকিয়ে চলেছেন। ২০১৪ সালে বলল, মতুয়া ভোট দাও, নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেব। ২০১৯ -এ-ও বলল। ২০২১ সালেও বলল। এখন বলল ভোট দাও, ক্যা করে দেব। কেউ যায়নি। যে যাবে, সঙ্গে সঙ্গে বিদেশি করে দেবে। লজ্জা থাকলে বলতাম দড়ি, কলসি দিলাম, জল তুলে নিয়ে এসো।“

মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস, “আগামী দিন বাংলায় কেউ উদ্বাস্তু থাকবেন না। আগামী দিনে সকলে জমির দলিল পাবেন। রানাঘাটে ২৭টি কলোনিকে জমির দলিল দেওয়া হয়েছে।“




Previous articleদল গোছানো শুরু মহামেডানের, কৃষ্ণাকে পেতে ঝাঁপাল সাদা-কালো ক্লাব
Next articleফের ‘বিরতি’ চান কিং খান! আবার কি অসুস্থ হয়ে পড়লেন?