আগেই সঙ্গ ছেড়েছে আইএসএফ, এবার বামেদের হাত ছাড়তে চলেছে কংগ্রেস

লোকসভা ভোটে ফের নিঃসঙ্গ হতে চলেছে বামেরা। জোটে ‘দাদাগিরি’ ফলাতে গিয়ে আইএসএফের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। এবার কংগ্রেসও হাত ছাড়ছে বামেদের। রাজ্যের আরও তিন লোকসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। এবং বামফ্রন্টের শরিক দলের জন্য নির্দিষ্ট আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী দিয়ে বুঝিয়েছে, জোটে সিপিএমের ‘দাদাগিরি ‘ তারাও মানবে না। যা নিয়ে ব্যাপক জটিলতা তৈরি হয়েছে।

ধাপে ধাপে বামফ্রন্ট এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ২৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। আবার কংগ্রেসের তরফে রবিবার বনগাঁ কেন্দ্রে প্রদীপ বিশ্বাস, উলুবেড়িয়ায় প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি আজ়হার মল্লিক এবং ঘাটাল আসনে পাপিয়া চক্রবর্তীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে à§§à§© আসনে কংগ্রেস প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হল। তবে ঘাটালে দু’দিন আগেই বামফ্রন্টের তরফে সিপিআই প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়েছে। এই নিয়ে তিনটি আসনে বাম শরিকদের সঙ্গে কংগ্রেসের টানাপড়েন থাকল। কোচবিহারে বামফ্রন্টের তরফে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরেও কংগ্রেস সেখানে প্রার্থী দিয়েছে। পুরুলিয়ায় আবার কংগ্রেস প্রার্থী দেওয়ার পরে ফরওয়ার্ড ব্লকও সেই আসনে লড়তে অনড়। এর পাশাপাশি, ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য কংগ্রেস প্রার্থী করেছে আঞ্জু বেগমকে।

আবার রাজ্যে মোট ৪২ আসনের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি আসনে এখনও বাম ও কংগ্রেস, কেউই প্রার্থী দেয়নি। জয়নগরে সাধারণত লড়াই করে বাম শরিক আরএসপি। তার পাশের আসন মথুরাপুরে লড়তে চায় কংগ্রেস। কিন্তু সেখানে সিপিএম শনিবারই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে জয়নগর ও কাঁথিতে কী হবে, কংগ্রেস শেষ পর্যন্ত কত আসনে প্রার্থী দেবে বা কোথাও দাবি ছাড়বে কি না, সে সব প্রশ্নে ধোঁয়াশা রয়ে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে জোটে জট অব্যাহত।

আরও পড়ুন- ভোটের আগে তদন্তকারী সংস্থাকে অপব্যবহার! মোদি সরকারের গাজোয়ারির বিরুদ্ধে কমিশনে তৃণমূল