Thursday, August 28, 2025

কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি: দু-মলাটে বাংলার দুর্গোৎসবের ৪৩৪ বছরের ইতিহাস

Date:

রবিবাসরীয় সন্ধেয় গড়িয়াহাটের একটি ব্যাঙ্কয়েটে আড্ডার আবহে প্রকাশিত হল সাংবাদিক-লেখক সম্রাট চট্টোপাধ্যায়ের বই ‘কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি’। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্য, প্রকাশক সুধাংশুশেখর দে-সহ বিশিষ্টজনেরা। বিভিন্ন পুজো কমিটির উদ্যোক্তারাও যোগ দিয়েছিলেন অনুষ্ঠানে। মুড়ি-তেলেভাজা-চা-সহ চলল আড্ডা।

বইটিতে উঠে এসেছে বাংলায় দুর্গাপুজোর সূচনা থেকে বর্তমান বিশ্বজনীন উৎসবে রূপান্তরের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। উল্লেখ করা হয়েছে, ১৬০৬ সালে রাজা কংস নারায়ণের হাত ধরে বাংলায় দুর্গোৎসবের সূচনা, আর ১৮৩২ সালে কাশিমবাজারের রাজা হরিনাথ কলকাতায় সর্বজনীন দুর্গোৎসব শুরু করেন। তবে পাড়ায় পাড়ায় সর্বজনীন পুজোর চল শুরু হয় ১৯১০ সালে ভবানীপুরের সনাতন ধর্মৎসাহিনী সভার উদ্যোগে।

কলকাতার পুজোর ৪৩৪ বছরের বিবর্তন, বনেদি বাড়ির অজানা উপাচার, কুমোরটুলির গল্প, ওপেন আর্ট ইনস্টলেশন, আলো–আবহ–শিল্পীদের পরিচিতি সবই রয়েছে এই বইতে। পাশাপাশি রয়েছে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে দুর্গাপুজোর ভূমিকার উল্লেখ এবং কীভাবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ক্লাবগুলোকে সংগঠিত করেছিলেন তারও সংক্ষিপ্ত বিবরণ।

বইটিতে এক মলাটে রাখা হয়েছে বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাই, যাতে বাংলার দুর্গোৎসবের ইতিহাস পৌঁছে দেওয়া যায় ভিনরাজ্য ও বিদেশি পাঠকের কাছেও। দীপ প্রকাশনের হাত ধরে সম্রাট চট্টোপাধ্যায়ের পুজো সাংবাদিকতার ২৫ বছর পূর্তিতে প্রকাশিত হয়েছে এই অষ্টম তথা শেষ গ্রন্থ।

১৬০ পৃষ্ঠার বইটির দাম রাখা হয়েছে ২৫০ টাকা। ২৫ অগস্ট থেকে কলেজ স্ট্রিটের দীপ প্রকাশনের দোকান ছাড়াও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আমাজন ও ফ্লিপকার্টে পাওয়া যাবে বইটি।

আরও পড়ুন – তৃণমূল–সমাজবাদী পার্টির পথে এবার আম আদমি পার্টি! জেপিসিতে থাকছে না আপও 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version