বাঁকুড়ায় উন্নয়নের জোয়ার, রাইপুরের নির্বাচনী সভা থেকে খতিয়ান তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্য সরকার বাঁকুড়ার ডালি ভরা উন্নয়ন করেছে। সোমবার রাইপুরে নির্বাচনী সভার তার খতিয়ান তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আদিবাসীদের উন্নয়নে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ, সিলেবাস তৈরি— সব করা হয়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেন্দ্র আমাদের টাকা দেয় না। উল্টে রাজ্য থেকে ৬ লক্ষ ৬৫ হাজার কোটি নিয়ে গিয়েছে। তারপরও জনকল্যাণমূলক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছি আমরা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা শিক্ষাবন্ধুদের মাইনে বাড়িয়েছি, সরকারি কর্মীদের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়িয়েছি, মে মাসে আরও ৪ শতাংশ দেব। স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের জন্য জেলায় জেলায় মার্কেট করে দেব বলে আমরা বাজেটেই জানিয়ে দিয়েছি। আপনাদের জিনিস আপনারা সেই মার্কেটে বিক্রি করতে পারবেন। তারপর ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয় সেলফহেল্প গ্রুপ চালু করার জন্য।

এছাড়া বাঁকুড়ায় চারটি মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল হয়েছে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হয়েছে। রঘুনাথপুরে ৭৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। দেড় লক্ষ ছেলে-মেয়ে চাকরি পাবে। বরজোড়াতেও শিল্পতালুক হচ্ছে। বাঁকুড়ায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। এখানের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায় ভাল। আমি রেলমন্ত্রী থাকার সময় বিষ্ণুপুর, আরামবাগ, তারকেশ্বর লাইন করে দিয়েছিলাম। বাঁকুড়া স্টেশন নতুন করে সাজিয়ে দিয়েছিলাম। ট্রেন দিয়েছিলাম। নতুন রাস্তা তৈরি করেও দিয়েছিলাম।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, আগে বাঁকুড়া ছিল অশান্তির জায়গা, জঙ্গলমহল ছিল সন্ত্রাসের জায়গা। মানুষ বেরোতে পারত না, গুন্ডাদের দৌরাত্ম্য চলত। আমরা জঙ্গলমহলকে শান্ত করেছি। এটা আপনাদেরই অবদান। আমার কাছে আপনারাই গ্যারান্টি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। আই এম নো বডি। আমি তো মানুষের পরিবারের একজন সদস্য। আমার গ্যারান্টি মানুষ। মানুষের গ্যারান্টি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক বন্ধু। তাঁর কথায়, আমার সঙ্গে ভালভাবে কথা বললে বাড়ির বাসনও মেজে দেব। আমি বাসন মাজতে ভালবাসি, রান্না করতে ভালবাসি। আমি ধামসা-মাদল, হারমোনিয়াম, ক্যাসিও বাজাতে ভালবাসি। আমি বাঁশি বাজাতেও ভালবাসি, লিখতে ভালবাসি। মোদিবাবু, আমি দাম্ভিক নই আপনাদের মতো।

আরও পড়ুন- উচ্চমাধ্যমিক পাঠক্রম আকর্ষণীয় করতে বৃত্তিমূলক বিষয় পড়ার সুযোগ