এই প্রথম ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধির উপর নজরদারি কমিশনের!

এবার ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধির উপর নজরদারি করবে কমিশন।

এই প্রথমবার ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে ভোট শেষ হওয়ার পর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধির উপর নিজস্ব সার্ভিলেন্স টিম দিয়ে নজর রাখতে চলেছে কমিশন।রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচনে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে তাদের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করল কমিশন। আলিপুরদুয়ারের মোট ১৩০০ বুথে মোতায়েন থাকবে মোট ৬৩ কোম্পানি আধাসেনা। কোচবিহারে ২৫৩৭টি বুথের নিরাপত্তার জন্য মোট ১১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হবে। এছাড়া জলপাইগুড়ির ১,৬০৮টি বুথের পাহারায় মোট ৭৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। অন্যদিকে, এবার ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধির উপর নজরদারি করবে কমিশন।

প্রথম দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও বিশাল সংখ্যক রাজ্য পুলিশও মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। আলিপুর দুয়ারে ১৪২ জন মহিলা কনস্টেবল, ৩০৩ জন এসআই বা এএসআই ও ইনসপেক্টর পদমর্যাদার ২২ জন অফিসার থাকবেন। এছাড়া কুইক রেসপন্স টিমে ১৯ সেকশন ও স্ট্রং রুমে ৩ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। কোচবিহারে এসআই বা এএসআই পদমর্যাদার ৫১৯ জন, ইনসপেক্টর পদের ৪০ জন, রাজ্য পুলিসের সশস্ত্র বাহিনীর ১,১১৬ জন বাহিনী থাকবেন। এছাড়া এই জেলায় কিউআরটিতে ২৭ সেকশন ও স্ট্রং রুমের নিরাপত্তার জন্য থাকবে ৩ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী।

অন্যদিকে, জলপাইগুড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর ৮৭২ জন, ১৭৮ জন মহিলা কনস্টেবল, এসআই বা এসআই পদমর্যাদার ৩৯৮ জন এবং ইনসপেক্টর পদের ২৭ জন আধিকারিক থাকবেন। এই আসনের জন্য কিউআরটিতে ২২ সেকশন এবং স্ট্রং রুমের নিরাপত্তায় ৬ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেট এলাকার ৩৬৯টি বুথের নিরাপত্তায় থাকবে ১৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিউআরটির জন্য থাকবে ৬ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী।

এরই পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের ৬৮ জন মহিলা কনস্টেবল, ১০৭ জন এসআই বা এএসআই পদাধিকারী, ১০ জন ইনসপেক্টর ও রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর মোট ২২৪ জন মোতায়েন থাকবে ভোট নিরাপত্তায়। অতীতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে একাধিক অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। ভোটের দিন কখনও তাদের হাজারদুয়ারি, কখনও-বা আলিপুর চিড়িয়াখানায় দেখা গিয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই এবার প্রথমবার সার্ভিলেন্স টিম গড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধির উপর নজরদারি রাখতে চলেছে কমিশন।

ভোটের ডিউটি ছেড়ে অতীতে একাধিকবার দলবেধে বেড়াতে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে। কখনও তৃণমূল কংগ্রেস, কখনও বাম বা কংগ্রেস বা বিজেপি অভিযোগ এনেছে এ বিষয়ে। কখনও অভিযোগ উঠেছে ভোটের কাজ না করে বাহিনীর জওয়ানরা ঘুরে বেড়িয়েছেন চিড়িয়াখানায়। কখনও হাজারদুয়ারি বা অন‌্য কোনও দর্শনীয় স্থানেও ঘুরতে চলে গিয়েছেন।সেই অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতার অবসানেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধির উপর ভোটের দুদিন আগে থেকেই নজর রাখার সিদ্ধান্ত বলে কমিশনে সূত্রে জানা গিয়েছে।




 

 

Previous articleহিন্দু ধর্ম পরিবর্তনে সরকারি অনুমতি ‘লাগবেই’, নির্দেশ গুজরাটে
Next articleগঙ্গার ঘাটে অজ্ঞাত পরিচয় যুবতীর পচাগলা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য